যার অন্তরে জাররা পরিমাণ ঈমান আছে, সেও একদিন দোযখের’ শাস্তি ভোগের পর ‘বেহেশতে প্রবেশ করবে

বিষয়ঃ “যার অন্তরে জাররা পরিমাণ ঈমান আছে, সেও একদিন ‘দোযখের’ শাস্তি ভোগের পর ‘বেহেশতে’ প্রবেশ করবে” – আসলেই কি তাই? 
─━═●═━─ ─━═●═━─ ─━═●═━─ 
মহাপরাক্রান্ত আল্লাহ তা’য়ালা বিচার দিবসের মালিক – মালিকি ইয়াওমিদ্দীন। তাঁর কহ্হার সত্তার পূর্ণ প্রকাশ সেদিন মানব জাতি প্রত্যক্ষ করবে। যমীন সেদিন তাঁর নূরে উদ্ভাসিত হবে। শাফায়াত বা তদবির সংক্রান্ত পূর্ণ এখতিয়ারও সেদিন তিনিই সংরক্ষণ করবেন। আল্লাহ তা’য়ালার অনুমতি পেলে কুরআন নির্ধারিত কতিপয় শর্তসাপেক্ষে নবী-রাসূলগণসহ অনেকে সুপারিশের অনুমোদন পাবেন। তবে শাফায়াত সংক্রান্ত বিস্তৃত আলোচনা বক্ষ্যমান নিবন্ধের উপজীব্য নয়।

আমরা প্রথমেই জানতে চাইব যে, কুরআনে এমন কোন আয়াত আছে কিনা যেখানে ঠিক এভাবেই বলা হয়েছে যে, অনু পরিমান ঈমানের অধিকারী একদল বান্দা তাদের পাপের কারণে জাহান্নামের নির্দিষ্ট শাস্তি ভোগের পর শেষনবীর সুপারিশ সাপেক্ষে জান্নাত লাভ করবে।

না, তেমন কোন কথাই কুরআন মাজীদে বলা হয় নি। বা এমনও কোন আয়াত নেই, যেখানে এই ইঙ্গিত আছে যে, অন্তরে সামান্য ঈমান অবশিষ্ট থাকার কারণে জাহান্নাম থেকে কেউ মুক্তি পেয়ে ফিরে আসবে। তাহলে কুরআনে কী আছে সেটাই আমরা জানতে চেষ্টা করি।

কারা জাহান্নামের বাসিন্দা আর কারা জান্নাতের বাসিন্দা তা কুরআনে বারবার বলা হয়েছে। এই বক্তব্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো এসব আয়াতের প্রায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে শেষে বলে দেয়া হয়েছে – “হুম ফীহা খলীদুন”, আর একটি হলো “খলিদীনা ফীহা আবাদা”; মানে তারা সেখানে স্থায়ীভাবে বা চিরকালের জন্য প্রবেশ করবে। এটা জান্নাতীদের ক্ষেত্রে যেমন বলা হয়েছে; আবার জাহান্নামের বাসিন্দাদের জন্যও সমভাবে ও একই বাক্যবিণ্যাসে বলা হয়েছে। 

দাখিল হওয়া মানে প্রবেশ করা, তবে তা অস্থায়ী প্রবেশ – মানে কোথাও প্রবেশের পর যেখান থেকে আবার বের হতে হয়। অন্যদিকে আল-খলদুন ক্রিয়ামূল-এর অর্থ পুরো কুরআন জুড়েই চিরস্থায়ী (forever) প্রবেশ – মানে যেখানে অনুপ্রবেশ করা যায়; কিন্তু বের হওয়া যায় না। 

ইংরেজি অনুবাদকগণ খলদুন-এর অর্থ করতে কোন সংশয়ের আশ্রয় নেন নি; তারা সর্বত্র forever-ই লিখেছেন। কিন্তু বাংলা ভাষায় কতিপয় অনুবাদক এব ব্যত্যয় করেছেন – তারা লিখেছেন ‘দীর্ঘকাল’। এই কাজটি তারা কেন করেছেন, সেটা তারা এবং আল্লাহ তা’য়ালা ভালো জানেন। অন্যদিকে “আবাদান (أَبَدًا)” অর্থও চিরকাল বা অনন্তকাল। পাশাপাশি তাগিদ প্রদান করে চিরস্থায়িত্বের শাস্তি ঘোষণার পরও তারা চিরকাল বা চিরস্থায়ী না লিখে কীভাবে ‘দীর্ঘকাল’ লিখতে পারেন তা ভাববার বিষয়। তবে কোন সন্দেহ নেই, চিরস্থায়ীর পরিবর্তে এই ‘দীর্ঘকাল’ লেখার দ্বারা “জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে জান্নাতে প্রবেশ তত্ত্ব” অনেকেটাই বৈধতা পেয়েছে। যেমন. জহুরুল হক ‘খলীদিনা ফীহা আবাদান’-এর অর্থ লিখেছেন –

শুধু আল্লাহ্ থেকে পৌঁছে দেওয়া, আর তাঁর বাণীসমূহ। আর যে আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের অবাধ্যতা করে, তার জন্য তবে নিশ্চয়ই রয়েছে জাহান্নামের আগুন, তাতে তারা থাকবে দীর্ঘকাল। -৭২:২৩

যাতে তারা থাকবে সুদীর্ঘকাল, তারা পাবে না কোনো অভিভাবক, আর না কোনো সহায়ক। -৩৩:৬৫

শুধু জাহান্নামের পথে ছাড়া, তারা সেখানে থাকবে সুদীর্ঘকাল। আর আল্লাহ্‌র পক্ষে এটা হচ্ছে সহজ। -৪:১৬৯

وَالَّذِينَ كَفَرُوا وَكَذَّبُوا بِآَيَاتِنَا أُولَئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ

কিন্তু যারা অবিশ্বাস পোষণ করে ও আমাদের আয়াতসমূহে মিথ্যারোপ করে, তারাই হচ্ছে আগুনের বাসিন্দা, তারা তার মধ্যে থাকবে দীর্ঘকাল। -২:৩৯

অথচ একই অনুবাদক জান্নাতিদের ক্ষেত্রে ‘চিরকাল’, ‘অনন্তকাল’ ব্যবহার করেছেন।

وَالَّذِينَ آَمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ سَنُدْخِلُهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا أَبَدًا

আর যারা ঈমান আনে ও সৎকাজে করে তাদের আমরা শীঘ্রই প্রবেশ করাবো স্বর্গোউদ্যানসমূহে, যাদের নিচে দিয়ে বয়ে চলে ঝরনারাজি, তাতে তারা থাকবে চিরকাল। -৪:৫৭

وَالَّذِينَ آَمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ سَنُدْخِلُهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا أَبَدًا وَعْدَ اللَّهِ حَقًّا وَمَنْ أَصْدَقُ مِنَ اللَّهِ قِيلًا

যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে এবং সৎকর্ম করেছে, আমি তাদেরকে উদ্যানসমূহে প্রবিষ্ট করাব, যেগুলোর তলদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত হয়। তারা চিরকাল তথায় অবস্থান করবে। আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সত্য সত্য। আল্লাহর চাইতে অধিক সত্যবাদী কে? -৪:১২২

لَقَدْ كَفَرَ الَّذِينَ قَالُوا إِنَّ اللَّهَ هُوَ الْمَسِيحُ ابْنُ مَرْيَمَ وَقَالَ الْمَسِيحُ يَا بَنِي إِسْرَائِيلَ اعْبُدُوا اللَّهَ رَبِّي وَرَبَّكُمْ إِنَّهُ مَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ وَمَأْوَاهُ النَّارُ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنْصَارٍ

তারা কাফের, যারা বলে যে, মরিময়-তনয় মসীহ-ই আল্লাহ; অথচ মসীহ বলেন, হে বণী-ইসরাঈল, তোমরা আল্লাহর এবাদত কর, যিনি আমার পালন কর্তা এবং তোমাদেরও পালনকর্তা। নিশ্চয় যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থির করে, আল্লাহ তার জন্যে জান্নাত হারাম করে দেন। এবং তার বাসস্থান হয় জাহান্নাম। অত্যাচারীদের কোন সাহায্যকারী নেই। -৫:৭২

إِنَّ الَّذِينَ كَذَّبُوا بِآَيَاتِنَا وَاسْتَكْبَرُوا عَنْهَا لَا تُفَتَّحُ لَهُمْ أَبْوَابُ السَّمَاءِ وَلَا يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ حَتَّى يَلِجَ الْجَمَلُ فِي سَمِّ الْخِيَاطِ وَكَذَلِكَ نَجْزِي الْمُجْرِمِينَ

নিশ্চয়ই যারা আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যা বলেছে এবং এগুলো থেকে অহংকার করেছে, তাদের জন্যে আকাশের দ্বার উম্মুক্ত করা হবে না এবং তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না। যে পর্যন্ত না সূচের ছিদ্র দিয়ে উট প্রবেশ করে। আমি এমনিভাবে পাপীদেরকে শাস্তি প্রদান করি। -৭:৪০

কুরআন মোটাদাগে কিয়ামতবাসীদের তিনভাগে বিভক্ত করে-

وَكُنْتُمْ أَزْوَاجًا ثَلَاثَةً * فَأَصْحَابُ الْمَيْمَنَةِ مَا أَصْحَابُ الْمَيْمَنَةِ * وَأَصْحَابُ الْمَشْأَمَةِ مَا أَصْحَابُ الْمَشْأَمَةِ * وَالسَّابِقُونَ السَّابِقُونَ * أُولَئِكَ الْمُقَرَّبُونَ

এবং তোমরা তিনভাবে বিভক্ত হয়ে পড়বে। যারা ডান দিকে, কত ভাগ্যবান তারা। এবং যারা বামদিকে, কত হতভাগা তারা। অগ্রবর্তীগণ তো অগ্রবর্তীই। তারাই নৈকট্যশীল। -৫৬:৭-১১

এই তিন ভাগের মধ্যেই আবার কতগুলো শ্রেণী রয়েছে - তাদের শেষ গন্তব্য কোথায়, তার একটা সংক্ষিপ্ত শ্রেণি বিভাগ দাঁড় করাতে চেষ্টা করি।

এক. আছহাবুল জান্নাহ - মুসলিম
─━═●═━─ 
মুমিন-মুসলিমগণ জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদের মধ্যে মর্যাদাগত তারতম্য আছে – আগে পিছের বিষয়ও আছে। আবার একদলকে বলা হয়েছে সাবিকুন বা অগ্রবর্তী। যাই হোক, তারা কারা সে সম্পর্কিত কুরআনী বর্ণনা বহু বর্ণিল ও ব্যাপক। আমরা কতিপয় আয়াত পেশ করব মাত্র।

لِلَّذِينَ أَحْسَنُوا الْحُسْنَى وَزِيَادَةٌ وَلَا يَرْهَقُ وُجُوهَهُمْ قَتَرٌ وَلَا ذِلَّةٌ أُولَئِكَ أَصْحَابُ الْجَنَّةِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ

যারা সৎকর্ম করেছে তাদের জন্য রয়েছে কল্যাণ এবং তারও চেয়ে বেশী। আর তাদের মুখমন্ডলকে আবৃত করবে না মলিনতা কিংবা অপমান। তারাই হল জান্নাতবাসী, এতেই তারা বসবাস করতে থাকবে অনন্তকাল। -১০:২৬

وَالَّذِينَ آَمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ أُولَئِكَ أَصْحَابُ الْجَنَّةِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ

পক্ষান্তরে যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে, তারাই জান্নাতের অধিবাসী। তারা সেখানেই চিরকাল থাকবে। -২:৮২

إِنَّ الَّذِينَ آَمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَأَخْبَتُوا إِلَى رَبِّهِمْ أُولَئِكَ أَصْحَابُ الْجَنَّةِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ

নিশ্চয়ই যারা ঈমান এনেছে ও সৎকাজ করেছে এবং স্বীয় রব্বের সমীপে মিনতি প্রকাশ করেছে তারাই জান্নাতবাসী, সেখানেই তারা চিরকাল থাকবে। -১১:২৩

إِنَّ الَّذِينَ قَالُوا رَبُّنَا اللَّهُ ثُمَّ اسْتَقَامُوا فَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ * أُولَئِكَ أَصْحَابُ الْجَنَّةِ خَالِدِينَ فِيهَا جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ

নিশ্চয় যারা বলে, আমাদের রব্ব আল্লাহ অতঃপর অবিচল থাকে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা চিন্তিত হবে না। তারাই জান্নাতের অধিকারী! তারা তথায় চিরকাল থাকবে। তারা যে কর্ম করত, এটা তারই প্রতিফল। -৪৬:১৩-১৪

শুধু তাই নয়, পৃথিবী থেকে বিদায়ের প্রাক্কালেই তারা জান্নাতের সুসংবাদ পেয়ে যায়।

إِنَّ الَّذِينَ قَالُوا رَبُّنَا اللَّهُ ثُمَّ اسْتَقَامُوا تَتَنَزَّلُ عَلَيْهِمُ الْمَلَائِكَةُ أَلَّا تَخَافُوا وَلَا تَحْزَنُوا وَأَبْشِرُوا بِالْجَنَّةِ الَّتِي كُنْتُمْ تُوعَدُونَ

নিশ্চয় যারা বলে, আমাদের রব্ব আল্লাহ, অতঃপর তাতেই অবিচল থাকে, তাদের কাছে ফেরেশতা অবতীর্ণ হয় এবং বলে, তোমরা ভয় করো না, চিন্তা করো না এবং তোমাদের প্রতিশ্রুত জান্নাতের সুসংবাদ শোন। -৪১:৩০

إِنَّ الَّذِينَ قَالُوا رَبُّنَا اللَّهُ ثُمَّ اسْتَقَامُوا فَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ * أُولَئِكَ أَصْحَابُ الْجَنَّةِ خَالِدِينَ فِيهَا جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ

নিশ্চয় যারা বলে, আমাদের রব্ব আল্লাহ অতঃপর অবিচল থাকে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা চিন্তিত হবে না। তারাই জান্নাতের অধিকারী! তারা তথায় চিরকাল থাকবে। তারা যে কর্ম করত, এটা তারই প্রতিফল।
-৪৬:১৩-১৪

এটাও নিশ্চিত করা হয়েছে যে, জান্নাতে তারা স্থায়ীভাবে বা চিরদিনের জন্য প্রবেশ করবে - জালিকা ইয়াওমূল খূলুদ (ইহাই চিরস্থায়ী প্রবেশের দিন)।

مَنْ خَشِيَ الرَّحْمَنَ بِالْغَيْبِ وَجَاءَ بِقَلْبٍ مُنِيبٍ * ادْخُلُوهَا بِسَلَامٍ ذَلِكَ يَوْمُ الْخُلُودِ

যে না দেখে দয়াময় আল্লাহ তা’য়ালাকে ভয় করত এবং বিনীত অন্তরে উপস্থিত হত। তোমরা এতে শান্তিতে প্রবেশ কর। এটাই অনন্তকাল বসবাসের জন্য প্রবেশ করার দিন। -৫০:৩৩-৩৪

দুই. আছহাবুল জাহীম বা আছহাবুন নার - কাফের চিরস্থায়ী জাহান্নামী
─━═●═━─ 
যারা কুরআনের সত্যে বিশ্বাসী নয় বা প্রত্যাখ্যানকারী, তারা জাহান্নামের আগুনে স্থায়ী হবে। যেমন-

وَالَّذِينَ كَفَرُوا وَكَذَّبُوا بِآَيَاتِنَا أُولَئِكَ أَصْحَابُ الْجَحِيمِ

যারা অবিশ্বাস করে এবং আমাদের নিদর্শনাবলীকে মিথ্যা বলে, তার জাহান্নামের বাসিন্দা। -৫:১০, ৫:৮৬, ৫৭:১৯

وَالَّذِينَ كَفَرُوا وَكَذَّبُوا بِآَيَاتِنَا أُولَئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ

কিন্তু যারা অবিশ্বাস পোষণ করে ও আমাদের আয়াতসমূহে মিথ্যারোপ করে, তারাই হচ্ছে আগুনের বাসিন্দা, তারা তার মধ্যে থাকবে অনন্তকাল। -২:৩৯, ৬৪:১০

وَمَنْ يَعْصِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَإِنَّ لَهُ نَارَ جَهَنَّمَ خَالِدِينَ فِيهَا أَبَدًا

যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অমান্য করে, তার জন্যে রয়েছে জাহান্নামের অগ্নি। তথায় তারা চিরকাল থাকবে। -৭২:২৩

إِنَّ اللَّهَ لَعَنَ الْكَافِرِينَ وَأَعَدَّ لَهُمْ سَعِيرًا * خَالِدِينَ فِيهَا أَبَدًا لَا يَجِدُونَ وَلِيًّا وَلَا نَصِيرًا

আল্লাহ্ নিশ্চয়ই অবিশ্বাসী কাফেরদের ধিক্কার দিয়েছেন আর তাদের জন্য প্রস্তুত করেছেন এক জ্বলন্ত আগুন - যাতে তারা থাকবে অনন্তকাল, তারা পাবে না কোনো অভিভাবক, আর না কোনো সহায়ক।-৩৩:৬৪-৬৫

তিন. মুরতাদের জন্য চিরস্থায়ী জাহান্নাম
─━═●═━─ 
যারা দীন ইসলামের মধ্যে ছিল, কিন্তু দীন পরিত্যাগ করেছে বা ইসলাম থেকে ফিরে গেছে; মানে মুরতাদ হয়েছে – তাদের চূড়ান্ত ও স্থায়ী গন্তব্যও জাহান্নাম।

وَمَنْ يَرْتَدِدْ مِنْكُمْ عَنْ دِينِهِ فَيَمُتْ وَهُوَ كَافِرٌ فَأُولَئِكَ حَبِطَتْ أَعْمَالُهُمْ فِي الدُّنْيَا وَالْآَخِرَةِ وَأُولَئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ

আর তোমাদের মধ্যে থেকে যে তার ধর্ম থেকে ফিরে যায় (মুরতাদ হয়) ও মারা যায় অবিশ্বাসী থাকা অবস্থায়, তা হলে এরাই- এদের সব কাজ এই দুনিয়াতে ও আখেরাতে বৃথা যাবে। আর তারাই হচ্ছে আগুনের অধিবাসী, তারা এতে থাকবে চিরকাল। -২:২১৭

إِنَّ الَّذِينَ ارْتَدُّوا عَلَى أَدْبَارِهِمْ مِنْ بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُمُ الْهُدَى الشَّيْطَانُ سَوَّلَ لَهُمْ وَأَمْلَى لَهُمْ * فَكَيْفَ إِذَا تَوَفَّتْهُمُ الْمَلَائِكَةُ يَضْرِبُونَ وُجُوهَهُمْ وَأَدْبَارَهُمْ

নিশ্চয় যারা সোজা পথ ব্যক্ত হওয়ার পর তৎপ্রতি পৃষ্ঠপ্রদর্শন করে ফিরে যায় (মুরতাদ হয়), শয়তান তাদের জন্যে তাদের কাজকে সুন্দর করে দেখায় এবং তাদেরকে মিথ্যা আশা দেয়। ………….. ফেরেশতা যখন তাদের মুখমন্ডল ও পৃষ্ঠদেশে আঘাত করতে করতে প্রাণ হরণ করবে, তখন তাদের অবস্থা কেমন হবে? -৪৭:২৫-২৭

আমাদের আলোচনাকে সংক্ষিপ্ত রাখার স্বার্থে যারা চিরস্থায়ী জান্নাতে যাবেন সেইসব মুমিন-মুসলিম এবং যারা চিরস্থায়ী জাহান্নামে যাবে সেইসব মুজরিম কাফিরকে প্রথমেই আলাদা করে রাখি। এর মধ্যে একশ্রেণির সত্য প্রত্যাখ্যানকারী আছে, যাদের জন্য কিয়ামতে কোন ‘ওজন স্থাপন করা হবে না’ মর্মে ঘোষণা আছে - অর্থাৎ যারা বিনা হিসেবে জাহান্নামে যাবে।

এর মধ্যে এক শ্রেণি আছে যাদের জন্য কিয়ামতের দিন কোন ওজন বা পাল্লাই স্থাপন করা হবে না। সূরা কাহাফের ১০২ নম্বর আয়াতে কাফেরদের একদলের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, যারা মনে করে পৃথিবীতে তারা খুব ভাল কাজ করছে, অথচ তারা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ। 

قُلْ هَلْ نُنَبِّئُكُمْ بِالْأَخْسَرِينَ أَعْمَالًا * الَّذِينَ ضَلَّ سَعْيُهُمْ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَهُمْ يَحْسَبُونَ أَنَّهُمْ يُحْسِنُونَ صُنْعًا * أُولَئِكَ الَّذِينَ كَفَرُوا بِآَيَاتِ رَبِّهِمْ وَلِقَائِهِ فَحَبِطَتْ أَعْمَالُهُمْ فَلَا نُقِيمُ لَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَزْنًا

বলো, আমি কি তোমাদেরকে সেসব লোকের সংবাদ দেব, যারা কর্মের দিক দিয়ে খুবই ক্ষতিগ্রস্ত। তারাই সে লোক, যাদের প্রচেষ্টা পার্থিবজীবনে বিভ্রান্ত হয়, অথচ তারা মনে করে যে, তারা সৎকর্ম করেছে। তারাই সে লোক, যারা তাদের পালনকর্তার নিদর্শনাবলী এবং তাঁর সাথে সাক্ষাতের বিষয় অস্বীকার করে। ফলে তাদের কর্ম নিষ্ফল হয়ে যায়। সুতরাং কেয়ামতের দিন তাদের জন্য আমি কোন ওজনই স্থাপন করব না। -১৮:১০৩-১০৫

চার. কিয়ামতের ময়দানের এক বিশেষ শ্রেণি - অপেক্ষমান আ’রাফবাসী
─━═●═━─ 
বিশুদ্ধ চিত্ত মুমিনগণ জান্নাতে যাবে, কাফির-মুরতাদ, মুনাফিক-মুশরিক, ফাসিক জাহান্নামে যাবে। তবে একশ্রেণির বিশ্বাসী বান্দাগণ যারা এই দুই অবস্থানের মধ্যে অপেক্ষমান থাকবে। সূরা আ’রাফে বিস্তৃতভাবে তাদের অবস্থার কথা বর্ণনা করা হয়েছে – বিবৃতি এতটাই সুস্পষ্ট যে, তা বোঝার জন্য অতিরিক্ত কোন বাক্যব্যয় করতে হয় না। তাই আমরা সরাসরি আয়াতগুলোতে চলে যাই।

وَنَادَى أَصْحَابُ الْجَنَّةِ أَصْحَابَ النَّارِ أَنْ قَدْ وَجَدْنَا مَا وَعَدَنَا رَبُّنَا حَقًّا فَهَلْ وَجَدْتُمْ مَا وَعَدَ رَبُّكُمْ حَقًّا قَالُوا نَعَمْ فَأَذَّنَ مُؤَذِّنٌ بَيْنَهُمْ أَنْ لَعْنَةُ اللَّهِ عَلَى الظَّالِمِينَ * الَّذِينَ يَصُدُّونَ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ وَيَبْغُونَهَا عِوَجًا وَهُمْ بِالْآَخِرَةِ كَافِرُونَ * وَبَيْنَهُمَا حِجَابٌ وَعَلَى الْأَعْرَافِ رِجَالٌ يَعْرِفُونَ كُلًّا بِسِيمَاهُمْ وَنَادَوْا أَصْحَابَ الْجَنَّةِ أَنْ سَلَامٌ عَلَيْكُمْ لَمْ يَدْخُلُوهَا وَهُمْ يَطْمَعُونَ * وَإِذَا صُرِفَتْ أَبْصَارُهُمْ تِلْقَاءَ أَصْحَابِ النَّارِ قَالُوا رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا مَعَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ * وَنَادَى أَصْحَابُ الْأَعْرَافِ رِجَالًا يَعْرِفُونَهُمْ بِسِيمَاهُمْ قَالُوا مَا أَغْنَى عَنْكُمْ جَمْعُكُمْ وَمَا كُنْتُمْ تَسْتَكْبِرُونَ * أَهَؤُلَاءِ الَّذِينَ أَقْسَمْتُمْ لَا يَنَالُهُمُ اللَّهُ بِرَحْمَةٍ ادْخُلُوا الْجَنَّةَ لَا خَوْفٌ عَلَيْكُمْ وَلَا أَنْتُمْ تَحْزَنُونَ * وَنَادَى أَصْحَابُ النَّارِ أَصْحَابَ الْجَنَّةِ أَنْ أَفِيضُوا عَلَيْنَا مِنَ الْمَاءِ أَوْ مِمَّا رَزَقَكُمُ اللَّهُ قَالُوا إِنَّ اللَّهَ حَرَّمَهُمَا عَلَى الْكَافِرِينَ

জান্নাতীরা জাহান্নামীদেরকে ডেকে বলবেঃ আমাদের সাথে আমাদের রব্ব যে ওয়াদা করেছিলেন, তা আমরা সত্য পেয়েছি? অতএব, তোমরাও কি তোমাদের রব্বের ওয়াদা সত্য পেয়েছ? তারা বলবেঃ হ্যাঁ। অতঃপর একজন ঘোষক উভয়ের মাঝখানে ঘোষণা করবেঃ আল্লাহর অভিসম্পাত জালেমদের উপর। যারা আল্লাহর পথে বাধা দিত এবং তাতে বক্রতা অন্বেষণ করত। তারা পরকালের বিষয়েও অবিশ্বাসী ছিল। উভয়ের মাঝখানে একটি প্রাচীর থাকবে এবং আ’রাফের উপরে অনেক লোক থাকবে। তারা প্রত্যেককে তার চিহ্ন দ্বারা চিনে নেবে। তারা জান্নাতীদেরকে ডেকে বলবেঃ সালামুন আলাইকুম (তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক)। তারা তখনও জান্নাতে প্রবেশ করবে না, কিন্তু প্রবেশ করার ব্যাপারে আগ্রহী হবে। যখন তাদের দৃষ্টি জাহান্নামীদের উপর পড়বে, তখন বলবেঃ হে আমাদের রব্ব, আমাদেরকে এ জালেমদের সাথী করো না। আ’রাফবাসীরা যাদেরকে তাদের চিহ্ন দ্বারা চিনবে, তাদেরকে ডেকে বলবে তোমাদের দলবল ও ঔদ্ধত্য তোমাদের কোন কাজে আসেনি। এরা কি তারাই; যাদের সম্পর্কে তোমরা কসম খেয়ে বলতে যে, আল্লাহ এদের প্রতি অনুগ্রহ করবেন না। (অথচ তাদের প্রতি অনুগ্রহ করে বলা হয়েছে যে,) প্রবেশ কর জান্নাতে, তোমাদের কোন আশঙ্কা নেই এবং তোমরা দুঃখিত হবে না। জাহান্নামীরা জান্নাতীদেরকে ডেকে বলবেঃ আমাদের উপর সামান্য পানি নিক্ষেপ কর অথবা আল্লাহ তোমাদেরকে যে রুযী দিয়েছেন, তা থেকেই কিছু দাও। তারা বলবেঃ আল্লাহ এই উভয় বস্তু কাফেরদের জন্যে হারাম করেছেন, তারা স্বীয় ধর্মকে তামাশা ও খেলা বানিয়ে নিয়েছিল এবং পার্থিব জীবন তাদেরকে ধোকায় ফেলে রেখেছিল। অতএব, আমি আজকে তাদেরকে ভুলে যাব; যেমন তারা এ দিনের সাক্ষাৎকে ভুলে গিয়েছিল এবং যেমন তারা আয়াতসমূহকে অবিশ্বাস করত। -৭:৪৪-৫০

এখন আমরা আরও তিনটি শ্রেণী নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা করব যারা জাহান্নামী, যাদের বিষয়ে পরবর্তী পর্বে আরও বিস্তারিত আলোচনা থাকবে, ইনশাআল্লাহ।

পাঁচ. মুশরিক – চিরস্থায়ী জাহান্নামী
─━═●═━─ 
যে ব্যক্তি আল্লাহর সত্তা, গুণাবলী, ক্ষমতা বা অধিকারের ক্ষেত্রে কাউকে কোনোরূপ অংশী সাব্যস্ত করে, সে মুশরিক। সোজা কথায় যে স্রষ্টার সাথে অংশীদার স্থাপন করে বা শিরক করে সে মুশরিক। কী কী কাজ বা কথার দ্বারা আল্লাহর সাথে অংশী স্থাপন হয়, সে আলোচনায় আমরা এখানে যাব না। তবে আল্লাহর বিবেচনায় এটি সবচেয়ে সাংঘাতিক অপরাধ যা তিনি ক্ষমা করতেই রাজী নন। এতদ্ভিন্ন বহু অপরাধ মার্জনা করে দেবার বিষয়ে তাঁর ওয়াদা আছে।

إِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَنْ يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَنْ يَشَاءُ وَمَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدِ افْتَرَى إِثْمًا عَظِيمًا

নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে তাঁর সাথে শরিক করে। তিনি ক্ষমা করেন এর নিম্ন পর্যায়ের পাপ, যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন। আর যে লোক আল্লাহর সাথে অংশীদার সাব্যস্ত করল, সে যেন কঠিন অপবাদ আরোপ করল। -৪:৪৮, ৪:১১৬

শুধু তাই নয়, খাতামুন নাবিয়্যিন মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ কোনভাবে আল্লাহর সাথে শিরক করলে তাঁর সকল আমল বরবাদ হয়ে যেত বলে হুমকি আছে কুরআনে। অর্থাৎ রেসালাতের দায়িত্ব পূর্ণরূপে পালন, নবীর সারাজীবনের সকল আমলে ছালেহ ইত্যাদি একটি মাত্র অপরাধের কারণে পন্ড হয়ে যেত। কী ভয়াবহ কথা- যে ব্যাপারে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে আল্লাহ কোন দ্বিধা করেন নাই।

وَلَقَدْ أُوحِيَ إِلَيْكَ وَإِلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكَ لَئِنْ أَشْرَكْتَ لَيَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ وَلَتَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ

আর তোমার কাছে ও তোমার আগে যারা ছিল তাঁদের কাছে নিশ্চয়ই ইতিপূর্বে প্রত্যাদিষ্ট হয়েছে- যদি তুমি আল্লাহর শরিক স্থির তাহলে তোমার কাজকর্ম নিশ্চয়ই নিষ্ফল হয়ে যাবে এবং তুমি নিশ্চয়ই ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যাবে। -৩৯:৬৫

সম্পূর্ণ একই বক্তব্য ১৮ জন নবীর নাম উল্লেখ করে সূরা আন’আমের ৮৩-৯০ আয়াতে বলা হয়েছে। যেহেতু মুশরিকরা কখনও আল্লাহর ক্ষমা পাবে না, তাই তাদর ব্যাপারে ক্ষমা প্রার্থনা করাও নিষেধ।

مَا كَانَ لِلنَّبِيِّ وَالَّذِينَ آَمَنُوا أَنْ يَسْتَغْفِرُوا لِلْمُشْرِكِينَ وَلَوْ كَانُوا أُولِي قُرْبَى مِنْ بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُمْ أَنَّهُمْ أَصْحَابُ الْجَحِيمِ

নবী ও মুমিনদের উচিত নয় মুশরেকদের মাগফেরাত কামনা করে, যদিও তারা আত্নীয় হোক একথা সুস্পষ্ট হওয়ার পর যে তারা জাহান্নামী। -৯:১১৩

এখন এই মুশরিকদের একটা বড় অংশ মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যেই বিদ্যমান। যেমন সূরা ইউসুফে বলা হয়েছে - 

وَمَا أَكْثَرُ النَّاسِ وَلَوْ حَرَصْتَ بِمُؤْمِنِينَ

(নবীকে) তুমি যতই চাও না কেন, অধিকাংশ লোক মুমিন হবে না। -১২:১০৩

وَمَا يُؤْمِنُ أَكْثَرُهُمْ بِاللَّهِ إِلَّا وَهُمْ مُشْرِكُونَ

অনেক মানুষ আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে, কিন্তু সাথে সাথে শিরকও করে। -১২:১০৬

তাহলে যে অতি অল্প সংখ্যক মানুষ ঈমান আনে তাদের মধ্যে অধিকাংশ (আকছার) শিরক না করে ছাড়ে না। যার মানে, নামে মুললিম কিন্তু প্রকৃত বিচারে মুশরিক এমন সকলেই স্থায়ীভাবে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।

ছয়. মুনাফিকের জন্য সর্ব নিকৃষ্ট জাহান্নাম
─━═●═━─ 
আবার যারা মুসলিম পরিচয়ে বাহ্যিক জীবন-যাপন করে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে মুনাফিক, তারা কাফেরদের চেয়েও নিকৃষ্ট জাহান্নামের বাসিন্দা হবে। আর এই সম্প্রদায়ের জন্য জাহান্নামের অবস্থিতি চিরকালের জন্য। একজন মুনাফিক অপরিহার্যভাবে একইসাথে একজন কাফের বা মুশরিকও।

أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ تَوَلَّوْا قَوْمًا غَضِبَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ مَا هُمْ مِنْكُمْ وَلَا مِنْهُمْ وَيَحْلِفُونَ عَلَى الْكَذِبِ وَهُمْ يَعْلَمُونَ * أَعَدَّ اللَّهُ لَهُمْ عَذَابًا شَدِيدًا إِنَّهُمْ سَاءَ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ * اتَّخَذُوا أَيْمَانَهُمْ جُنَّةً فَصَدُّوا عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ فَلَهُمْ عَذَابٌ مُهِينٌ * لَنْ تُغْنِيَ عَنْهُمْ أَمْوَالُهُمْ وَلَا أَوْلَادُهُمْ مِنَ اللَّهِ شَيْئًا أُولَئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ

তুমি কি তাদের প্রতি লক্ষ্য করো নি, যারা আল্লাহর গযবে নিপতিত সম্প্রদায়ের সাথে বন্ধুত্ব করে? তারা মুসলমানদের দলভুক্ত নয় এবং তাদেরও দলভূক্ত নয়। তারা জেনেশুনে মিথ্যা বিষয়ে শপথ করে। আল্লাহ তাদের জন্যে কঠোর শাস্তি প্রস্তুত রেখেছেন। নিশ্চয় তারা যা করে, খুবই মন্দ। তারা তাদের শপথকে ঢাল করে রেখেছেন, অতঃপর তারা আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে বাধা প্রদান করে। অতএব, তাদের জন্য রয়েছে অপমানজনক শাস্তি। আল্লাহর কবল থেকে তাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি তাদেরকে মোটেই বাঁচাতে পারবেনা। তারাই জাহান্নামের অধিবাসী তথায় তারা চিরকাল থাকবে। -৫৮:১৭

وَعَدَ اللَّهُ الْمُنَافِقِينَ وَالْمُنَافِقَاتِ وَالْكُفَّارَ نَارَ جَهَنَّمَ خَالِدِينَ فِيهَا هِيَ حَسْبُهُمْ وَلَعَنَهُمُ اللَّهُ وَلَهُمْ عَذَابٌ مُقِيمٌ

ওয়াদা করেছেন আল্লাহ, মুনাফেক পুরুষ ও মুনাফেক নারীদের এবং কাফেরদের জন্যে জাহান্নামের আগুনের - তাতে পড়ে থাকবে সর্বদা। সেটাই তাদের জন্যে যথেষ্ট। আর আল্লাহ তাদের প্রতি অভিসম্পাত করেছেন এবং তাদের জন্যে রয়েছে স্থায়ী আযাব। -৯:৬৮

এখানে ‘আযাবুম মুকীম’ মানে যে শাস্তির কোন শেষ নেই (never ending punishment / lasting torment)। কুরআনে একাধিকবার চিরস্থায়ী শাস্তি” অর্থেই ‘আযাবুম মুকীম’ ব্যবহৃত হয়েছে। আবার “নায়িমুম মুকীম (نَعِيمٌ مُقِيمٌ)”-এর বিপরীত ধারণাও বিদ্যমান আছে (৯:২১)।

সাত. ফাসিক সম্প্রদায়
─━═●═━─ 
কাফির, মুনাফিক, মুশরিক ও ফাসিকের মধ্যে মৌলিক ও গুণগত পার্থক্য কী কী?

কাফিরঃ কাফির সম্প্রদায় শাশ্বত সত্যকে প্রত্যাখ্যানকারী রা অস্বীকারকারী।

মুশরিকঃ মুশরিক হলো, যে ব্যক্তি আল্লাহর সত্তা, গুণাবলী, ক্ষমতা বা অধিকারের ক্ষেত্রে কাউকে কোনোরূপ অংশী সাব্যস্ত করে। আল্লাহর বিধানকে একমাত্র মূল বিধান হিসেবে গ্রহণ না করে অন্য কারো বিধানকেও মূল বিধানের অংশী সাব্যস্ত করে।

প্রত্যেক কাফির মুশরিক নয়, কিন্তু প্রত্যেক মুশরিক একই সাথে কাফির।

মুনাফিকঃ মুনাফিক হলো যে ব্যক্তি কাফির বা মুশরিক কিন্তু সে নিজেকে মুমিন বলে দাবি করে বা মুমিনদের অন্তর্ভুক্ত হিসেবে মিশে থাকে।

ফাসিকঃ একজন ফাসিক অপরিহার্যভাবে একইসাথে কাফির, মুশরিক ও মুনাফিক।

কুরআনে ফাসিক শব্দটি ইবলিশ শয়তান, কাফির, মুশরিক, মুনাফিক্ব সবার জন্য সাধারণভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থাৎ কাফিররাও ফাসিক, মুশরিকরাও ফাসিক, মুনাফিকরাও ফাসিক। যেমন, কুরআনে বলা হয়েছে -

أَفَمَنْ كَانَ مُؤْمِنًا كَمَنْ كَانَ فَاسِقًا لَا يَسْتَوُونَ

তাহলে কি যে মুমিন সে তার মতো যে ফাসিক (সত্যত্যাগী)? তারা সমতুল্য নয়। -৩২:১৮

ফাসিক গোষ্ঠীও বাহ্যত মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত। মুনাফিকদের সাথে তাদের সাদৃ্শ্য রয়েছে। এরাও আল্লাহর ক্রোধে নিপতিত হয়ে জাহান্নামের বাসিন্দা হবে।

سَوَاءٌ عَلَيْهِمْ أَسْتَغْفَرْتَ لَهُمْ أَمْ لَمْ تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ لَنْ يَغْفِرَ اللَّهُ لَهُمْ إِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْفَاسِقِينَ

তুমি তাদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করো অথবা না করো, উভয়ই সমান। আল্লাহ কখনও তাদেরকে ক্ষমা করবেন না। আল্লাহ পাপাচারী সম্প্রদায়কে পথপ্রদর্শন করেন না। -৬৩:৬

وَإِذْ قَالَ مُوسَى لِقَوْمِهِ يَا قَوْمِ لِمَ تُؤْذُونَنِي وَقَدْ تَعْلَمُونَ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ إِلَيْكُمْ فَلَمَّا زَاغُوا أَزَاغَ اللَّهُ قُلُوبَهُمْ وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْفَاسِقِينَ

স্মরণ কর, যখন মূসা (আঃ) তাঁর সম্প্রদায়কে বললঃ হে আমার সম্প্রদায়, তোমরা কেন আমাকে কষ্ট দাও, অথচ তোমরা জান যে, আমি তোমাদের কাছে আল্লাহর রসূল। অতঃপর তারা যখন বক্রতা অবলম্বন করল, তখন আল্লাহ তাদের অন্তরকে বক্র করে দিলেন। আল্লাহ পাপাচারী সম্প্রদায়কে পথপ্রদর্শন করেন না। -৬১:৫

وَقَوْمَ نُوحٍ مِنْ قَبْلُ إِنَّهُمْ كَانُوا قَوْمًا فَاسِقِينَ

আমি ইতিপূর্বে নূহের সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছি। নিশ্চিতই তারা ছিল পাপাচারী সম্প্রদায়। -৫১:৪৬

শেষকথা
এই হচ্ছে কিয়ামতের ময়দানে কুরআন বর্ণিত সাধারণ চিত্র – যেখানে একদলের জন্য আসমানের দরজা খুলে দেয়া হবে এবং তারা জান্নাতে অবস্থান করবে। অন্যদলের জন্য আসমানের দরজা উন্মুক্ত করা হবে না – তারা নিক্ষিপ্ত হবে জাহান্নামে।

আর একটি বড় দল আ’রাফের উপর অপেক্ষমান থাকবে জান্নাতে যাবার প্রতীক্ষায়। এই দলটি সম্ভবত তারা যারা তাদের আমলের ঘাটতি বা বিচারের মানদন্ডে আটকে গিয়ে একটা দীর্ঘ সময় কিয়ামতের মাঠে প্রতীক্ষারত থাকতে বাধ্য হবে।

কিন্তু পাপের কারণে প্রথমে জাহান্নামে যাবে, আবার পুড়ে কয়লা হয়ে ফের জান্নাতে প্রবেশ করবে – এটা শয়তানের কারখানায় তৈরি গল্প বৈ আর কিছু নয়।
⊙══════⊙══════⊙
-আবু সাঈদ খান

সহিহ বুখারি ও তাফসিরে ইবনে কাসির পড়া জায়েজ নেই।" এইটা কোন ফতুয়া নয় বরং এটা ফতুয়ার জবাব মাত্র।

সহিহ বুখারি ও তাফসিরে ইবনে কাসির পড়া জায়েজ নেই।কেননা, এই দুই গ্রন্থের লেখক শিয়া দ্বারা প্রভাবিতঃ 
(বিঃদ্রঃ সম্পূর্ণ পোস্ট না পড়ে কেউ কমেন্ট করবেন না।)
📜📢📢📢
সাহাবীদের ভুলত্রুটি খুঁজে বের করা এবং তাদের বদনাম রটনা করেছে কেবল শিয়ারা। 
তাই শিয়াদের ছিটেফোঁটা যেসব জায়গায় রয়েছে সেখান থেকেও দূরে থাকা আমাদের জন্য আবশ্যক, নইলে আমাদের মধ্যে সাহাবীদের প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি হয়ে যেতে পারে।

এক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাই ইবনে কাসীর তাঁর রচিত আল বেদায়া ওয়ান নেহায়া গ্রন্থে হযরত মুয়াবিয়া -এর ভুলত্রুটি নিয়ে অনেক লম্বা আলোচনা করেছেন। 
এমনকি তিনি শিয়াদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তাঁর বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থে হযরত মুয়াবিয়া সম্পর্কে অনেক শক্ত অভিযোগ করেছেন। 
তিনি তাফসিরে ইবনে কাসিরের সূরা নিসার 59 নং আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, 
📜"হযরত আব্দুর রহমান (রাঃ) ইবনে উমর (রাঃ)-কে বললেন, আপনার চাচাতো ভাই মোয়াবিয়া আমাদেরকে মাল অন্যায়ভাবে খেতে ও পরস্পর যুদ্ধ করতে নির্দেশ দিচ্ছেন অথচ আল্লা'হ তা'আলা এই দুটো কাজ করতে নিষেধ করেছেন। একথা শুনে হযরত ইবনে ওমর বললেনঃ আল্লাহর আনুগত্যের কাজে তোমরা তাঁর আদেশ মান্য করো এবং তাঁর অবাধ্যতার কোনো নির্দেশ দিলে মান্য করে না।"

🔖 ইবনে কাসীরের এই বর্ণনা থেকে বোঝা যায় হযরত মুয়াবিয়া অন্যায়ভাবে সম্পদ আত্মসাৎ করতে ও যুদ্ধ করতে নির্দেশ দিতেন। 
এতে নির্দ্বিধায় বলা যায়, ইবনে কাসির শিয়াদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এমন অভিযোগ তুলেছেন, নইলে কোনো সাহাবী সম্পর্কে এমন মন্তব্য করা সম্ভব নয়। অতএব তাফসীরে ইবনে কাসীর পড়া কতটুকু যৌক্তিক সেটা এখন আলোচনার বিষয়।
,
#ইমাম বুখারিও শিয়া প্রভাব থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত নয়। তিনি সহিহ বুখারিতে তাঁর ওস্তাদ আলী ইবনু জাদ থেকে ১১ টা হাদিস বর্ননা করেছেন। (হাদিস নং ১১, ১০৬, ১১৭৯, ১৪২৪, ২৯৩৮, ৩৫৬৩, ৩৭০৭, ৫৩৪৮, ৬২৪৭, ৬৫১৬, ৭২৬৬)

বুখারি শরিফের এই রাবি মুয়াবিয়া সম্পর্কে বলেন,
مات والله معاوية على غير الإسلام
📜"আল্লাহর কসম, মুয়াবিয়ার মৃত্যু ইসলামের ওপর ছিল না।" (মাওসূআতুল আক‌ওয়ালি আহমদ ইবনে হাম্বল, খণ্ড ৩, পৃষ্ঠা, ৩৪)।
,
🔖চিন্তা করছেন, কত মারাত্মক কথা! এই কথা যদি মওদুদী (রহঃ) বলতেন তাহলে তাকে কাফের ফত‌ওয়া দেওয়া কোনো ব্যাপার ছিল না। তাহলে ইমাম বুখারীর এই ওস্তাদের ব্যাপারে কি ফত‌ওয়া হবে? আর উনার বর্ণিত হাদিস গুলো গ্রহণ করা যাবে? আর এমন ব্যক্তির হাদীস বর্ণনা করে তো ইমাম বুখারীও শিয়াদের দলভুক্ত হয়ে গেলেন। নইলে এমন ব্যক্তির হাদিস বর্ণনা করার কথা নয়। ইমাম আবু দাউদ‌ও এই রাবি থেকে তিনটি হাদিস বর্ণনা করেছেন (হাদিস নং ৮৭৪, ৩৪৭৭, ৪৫১৫)। অতএব, তিনিও শিয়াদের দ্বারা প্রভাবিত।

#বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত হাসান বসরী রহ বলেন, 
📜📢হযরত মুয়াবিয়া এর চারটি কাজ এমন যে, তার মধ্যে একটি কাজও যে কেউ করলে তা হবে তার জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। 
➡️এক, মুসলিম উম্মতের বিরুদ্ধে তরবারি ধারণ এবং পরামর্শ ব্যতীত শাসনক্ষমতা অধিকার করা। 
➡️দুই, আপন পুত্রকে স্থলাভিষিক্ত করা অথচ সে ছিল মদ্যপায়ী ও নেশাখোর। 
➡️তিন, জিহাদ কে আপন পরিবারভুক্ত করা।
➡️চার, হুজর বিন আদি এবং তার সাথীদের কে হত্যা করা। (এরপর হাসান বসরী দুবার বললেন) হুজরের ব্যাপারে মুয়াবিয়ার জন্য আফসোস। 
হুজুর ও তার সাথীদের জন্য মুয়াবিয়ার জন্য আফসোস।
(ইবনুল জাওযী, আল মুনতাযামু ফীত তারিখ, ৫/২৪৩)

হযরত হাসান বসরী (রহঃ) হযরত মুয়াবিয়া -এর যে সমালোচনা করলেন এতে প্রতিয়মান হয় যে, শিয়াদের ছিটেফোঁটা প্রভাব তার মধ্যেও বিদ্যমান ছিল।

#ইমাম শাওকানী বলেন, 
ليس معاوية ممن يصلح لمارضة علي ولكنه أراد طلب الرياسة والدنيا بين قوم أغتام لا يعرفون معروفا ولا ينكر منكرا 
📜📢"মুয়াবিয়া -এর জন্য হযরত আলী (রাঃ)-এর বিরোধীতা করার কোনো অধিকার ছিল না কিন্তু তিনি ক্ষমতা এবং দুনিয়া হাসিলের উদ্দেশ্যে এমন সব লোকের সাহায্য নিয়ে হযরত আলী রাঃ-এর বিরোধিতা ও তার সাথে যুদ্ধ করেছেন যারা ছিল মূর্খ এবং যাদের কাছে হক-বাতিল ও ন্যায়-অন্যায়ের মধ্যে কোনো তফাৎ ছিল না। (রাওজাতুন নুদাইয়া, ২/৩৬০)

📜ইমাম শাওকানী হয়রত মুয়াবিয়া কে ক্ষমতা লোভী ও দুনিয়াদার বলেছেন। এতে নিঃসন্দেহে তাঁকেও আমরা শিয়াদের তালিকাভুক্তে রাখতে পারি।
,
📜#হানাফী মাযহাবের নির্ভরযোগ্য ফেকাহ গ্রন্থ হেদায়ার প্রণেতা বুরহান উদ্দিন মুরগিনানি হযরত মুয়াবিয়াকে জালিম শাসক বলে আখ্যায়িত করেছেন। (আল হেদায়া, ৩/১০২)

🔖তিনিও শিয়া। সরকারি ও ক‌ওমী মাদ্রাসায় এই ব‌ইটি পড়ানো হয়। সাহাবীদের প্রতি ভক্তি ও ভালোবাসা অক্ষুন্ন রাখতে পাঠ্য সেলেবাস থেকে এই বইটি বাদ দেওয়া জরুরি।🤣
,
📜📢#ইসলামের বিধান হচ্ছে সাক্ষীর ক্ষেত্রে দুইজন পুরুষ কিংবা একজন পুরুষ ও দুজন মহিলা প্রযোজ্য। (সূরা বাকারা-৮২)
কিন্তু হয়রত মুয়াবিয়া  প্রথম ব্যক্তি যিনি একজন সাক্ষী ও অপর সাক্ষীর পরিবর্তে বাদীর পক্ষ থেকে কসম দ্বারা বিচার কার্যকর পরিচালনা করেন। 
এ ব্যাপারে ইমাম যুহরী কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, 
بدعة، و أول من قضى بها معاوية
📜"এটি বেদ‌আত, আর সর্বপ্রথম এই বেদ‌আত দ্বারা বিচারকার্য সম্পাদন করেন মুয়াবিয়া ।
(মুহাম্মদ, মুয়াত্তা মালেক, হাঃ ৮৬৪)।
,
🔖এখানে নিঃসন্দেহে ইমাম যুহরীকেও শিয়া আখ্যায়িত করা যায়।
,
😎😎এইভাবে যদি সাহাবীদের ব্যাপারে নেগেটিভ কোনো মন্তব্য কিংবা যৌক্তিক কোনো সমালোচনা দেখলেই সেটা শিয়াদের বর্ণনা বলে উড়িয়ে দেওয়ার রীতি চালু করি তাহলে দেখা যাবে ইসলামের ইতিহাসে আহলে সুন্নতের কোনো আলিম নেই, সব শিয়া ন‌ইলে শিয়াদের এজেন্ট।

📜📢আর শিয়াদের প্রভাব যদি এতটাই শক্তিশালী হয়ে থাকে যে,
 হয়যত হাসান বসরী (মৃঃ ১১০ হিঃ) , 
হরযত আতা (১১৪ হিঃ), 
ইমাম যুহরি (১২৪ হিঃ), 
ইমাম বুখারী (১৯৪ হিঃ), 
বুরহান উদ্দিন মুরগিনানি (৫৯৩ হিঃ), 
ইবনে হাজার আসকালানী (৭৫২ হিঃ), 
ইবনে কাসীর, ইবনুল জাওযী, 
ইবনুল আরাবী, ইবনে আব্দুল বার (রাহিঃ)-এর মতো ব্যক্তিদেরকে তারা প্রভাবিত করে ফেলল তাহলে বলতে হবে আমাদের কোনো ইতিহাস নেই, চৌদ্দশ বছর থেকে ধারাবাহিকভাবে যে ইতিহাস বর্ণিত হয়ে আসছে সবগুলোই শিয়াদের রচিত এবং এটা তাদের‌ই কৃতিত্ব। আমরা সবাই ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক তাদের ইতিহাসের ওপর‌ই নির্ভরশীল।
,
😎তা ছাড়া ডঃ আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া স্যার, শাইখ রেজাউল করিম আবরার সহ যারা "খেলাফত ও রাজতন্ত্র" ব‌ইয়ের সমালোচনায় জীবন বিলিয়ে দিচ্ছেন ও ব‌ইটি পড়তে নিষেধ করেন কেবল হযরত মুয়াবিয়া সম্পর্কে কিছু অভিযোগ থাকার কারণে। 
কিন্তু পাটিগণিতের হিসেব অনুযায়ী প্রশ্ন জাগে, আপনারাও কি শিয়াদের প্রভাব থেকে মুক্ত?
,
⚠️🗞️কেননা, উপরোক্ত ব্যক্তিবর্গ মুসলিম উম্মার সকল স্তরের মানুষের নিকট গ্রহণযোগ্য এবং ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ আলেম ও বিজ্ঞজন। 
নিশ্চয়ই আপনারাও তাদেরকে সর্বজনস্বীকৃত আলেম মনে করেন। 
বিশেষ করে তাফসিরে ইবনে কাসির ও সহিহ বুখারি পড়তে আপনারাই সবাইকে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেন অথচ শিয়াদের প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে ইবনে কাসীর ও ইমাম বুখারীর ওস্তাদ কত জ-ঘন্য কথা বলেছেন তাদের কিতাবাদিতে। 
তা সত্ত্বেও আপনারা কীভাবে এই দুটো কিতাব প্রমোট করেন?
এতে প্রতীয়মান হয় যে, শিয়াদের প্রতি আপনাদের‌ও গোপন সখ্যতা রয়েছে।
,
🔰☑️আপনাদের দুটো কথা থেকে যেকোনো একটাকে মেনে নিতেই হবে।

♻️হযরত মুয়াবিয়া সম্পর্কে খেলাফত ও রাজতন্ত্র বইতে নেগেটিভ মন্তব্য থাকার কারণে এই বইটির ওপর আপত্তি তুলেছেন ও বইটি পড়তে নিষেধ করতেছেন, ঠিক তদ্রূপ, 
তাফসীরে ইবনে কাসীরয়ো ইমাম বুখারীর ওপর আপত্তি তুলতে হবে। 
এবং উপরোক্ত ব্যক্তিবর্গের আকিদা সম্পর্কে আপনাদেরকে খোলাসা করতে হবে । 
♻️যদি এটা সম্ভব না হয় তাহলে সাহাবীদের কোনো ভুল নিয়ে পর্যালোচনা করলে কেউ শিয়া হয়ে যায় না, তার বই পরলেও কেউ সাহাবী বিদ্বেষী হয়ে যায় না, এই স্বীকারোক্তি দিতে হবে।
📖
এখন আপনারা কোন দিকে যাবেন সেটা দেখার বিষয়।
-----(লেখাটি ফেসবুকে থেকে সংগ্রহ করে কাস্টমাইজড করে পোস্ট করা হয়েছে) ----

কালোজিরা ফুলের মধু কি? অর্ডার করতে আমাদের পেজে যোগাযোগ করুন

দুইকেজি বা তারও বেশি মধু নিলে ফ্রী হোম ডেলিভারি----
🛒
খাঁটি মধু চিনতে হলে মধুর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকতে হবে। নতুবা মধু আসল না নকল বুঝতে পারবেন না। 

কালোজিরা ফুলের মধু কি❓

এক কথায় কালোজিরা ফুলের মৌসুমে, মৌমাছি কালোজিরার ফুল থেকে যেই নির্যাস সংগ্রহ করে তাকেই কালোজিরা ফুলের মধু বলে।
কালোজিরা ফুলের মধুর বৈশিষ্ট্য✴️

আমাদের মনে রাখতে হবে যে, একেক ফুলের মধুর একেক রকম বৈশিষ্ট্য থাকে। যেমনঃ স্বাদ, গন্ধ, রং ও ঘনত্ব এর বেশ পরিবর্তন থাকে। যেমনঃ লিচু ফুলের মধু, সরিষা ফুলের মধু, সুন্দরবনের মধু ইত্যাদি। সব ফুলের মধুরই আছে ভিন্ন ভিন্ন গুণাগুণ ও বৈশিষ্ট্য। তাই কালোজিরা ফুলের মধুরও আছে ইউনিক কিছু বৈশিষ্ট্য।

স্বাদঃ আপনারা অনেকেই খেজুরের গুড় খেয়েছেন আশাকরি। এই কথাটি বলার কারণ হলো আপনি যদি কালোজিরা ফুলের মধু খান তাহলে বলবেন যে, গুড় এবং এই মধুর মাঝে কোনই পার্থক্য নাই। অর্থাৎ কালোজিরা ফুলের মধুর স্বাদ একদম খেজুরের গুড়ের মতো। তবে ভুলে গেলে চলবে না, মধু তো মধুই। সেটা কখনোই গুড় নই।

গন্ধঃ স্বাদ যেহেতু অনেকটা গুড়ের মতো তবে গন্ধ কিন্তু গুড়ের মতো না। বেশ আকর্ষণীয় এবং মনোমুগ্ধকর। 

রংঃ কালোজিরা ফুলের মধুর স্বাদ প্রায় গুড়ের মতো এবং দেখতে কালার ও কিন্তু গুড়ের মতোই প্রায়। কালো কালো টাইপ এর।

ঘনত্বঃ এইটি স্পেসিফিক ভাবে বলা কঠিন। মধুর ঘনত্ব ডিপেন্ড করে পারিপার্শ্বিক আবহাওয়া, তাপমাত্রা, মধু পরিপক্ব কি না এবং মৌচাষির উপরে। তবে আমাদের দেশে যে মধু বিক্রি হয় তা সাধারণত ১৮% থেকে ২৫% পর্যন্ত জলীয় উপাদান থাকে। অনেক সময় কিছু কম বেশ হয়। 
জলীয় উপাদান যত কম হবে মধু তত ঘন হবে।
এখানে শতভাগ বিশুদ্ধ খাঁটি কালোজিরা ফুলের মধু- পাওয়া যাচ্ছে। 
মূল্য -১২০০৳ কেজি


একদম বিশুদ্ধ লিচু ফুলের মধু পেতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

লিচু ফুলের মধু অন্যান্য ফুলের মধুর তুলনায় একটু বেশি সুস্বাদু ।
তাই স্বাদ, রঙ ও গন্ধে লিচু ফুলের মধু অতুলনীয়।
সুস্থ থাকতে নিয়মিত সকালে মধু খাওয়ার অভ্যাস করুন।আমাদের এখানে পাবেন শতভাগ বিশুদ্ধ লিচু ফুলের মধু। 
অর্ডার করতে আমাদের সাথে ইনবক্সে যোগাযোগ করুন। 
.
🐝🐝খাঁটি মধু চেনার উপায় 🐝🐝

⚜️খাঁটি মধু চেনার প্রথম উপায় হলো ল্যাবটেস্ট। এছাড়া ডিপফ্রিজে রাখলে ঘনত্ব বাড়বে কিন্তু জমবে না। 
মধুকে ঝাঁকি দিলে, এক পাত্র থেকে অন্য পাত্রে নিতে গেলে বা বোতলজাত করার সময় মধুতে ঝাঁকি লাগলে মধুর উপরের অংশে সাদা বুদবুদ আকারে দেখা যাবে। 

এটা মুলত এয়ার বাবল যেখান থেকে ফেনা সৃষ্টি হয়। রিয়েল মধুতে সক্রিয় এনজাইম , প্রোটিন এবং অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে যা এই সূক্ষ্ম বায়ু বুদবুদগুলির উৎপাদনের জন্য দায়ী। 

পাস্তুুরাইজড মধুতে, লাইভ এনজাইমগুলি তাপ দ্বারা দুর্বল বা ধ্বংস করে দেয়। যে মধুতে আর্দ্রতা বা ময়েশ্চারের পরিমাণ বেশি সেই মধুতে ফেনাও বেশি।

বিভিন্ন কোম্পানি মধুকে প্রসেসিং করে ময়েশ্চার বা আর্দ্রতার পরিমাণ কমিয়ে ফেলে। মধুকে হিট দেওয়া হলে ফেনা তৈরি হওয়ার অনুঘটকগুলো নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য প্রসেসিংকৃত মধুতে ফেনা হয় না।

মধু একটি কার্বোহাইড্রেট জাতীয় পদার্থ যাতে গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ থাকে। আর গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ হাইড্রোজেন, কার্বন ও অক্সিজেনের সমন্বয়ে গঠিত। যে মধুতে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি সেই মধুতে কার্বন অণু অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে কার্বন ডাইঅক্সাইড তৈরি করে। এতে ফেনা ও গ্যাসের সৃষ্টি হয়।

ফেনা তৈরি হলে সেটাকে কিছুক্ষণ স্থিরভাবে রেখে দিলে আবার সেই ফেনা মধুতে পরিণত হয়। এতে মধুর কোন প্রকার ক্ষতি বা কোন সমস্যা হয় না।
🔖📜মূল্য -৬০০৳ কেজি
🛒- তিন কেজি বা তারও বেশি মধু নিলে ফ্রী হোম ডেলিভারি )

জাল ও যঈফ হাদিসের কবলে আহলে হাদিস Part : 2

জাল ও যঈফ হাদীসের কবলে আহলে হাদীস:
পর্ব ২- রফউল ইয়াদাঈন 
--------------------------------------
আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করা পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর রফউল ইয়াদাঈন করা:

বুখারী মুসলিমে রফউল ইয়াদঈন করার হাদীস থাকলেও রাসূলুল্লাহ (সা) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করা পর্যন্ত রফউল ইয়াদঈন করার কোন হাদীস নেই। বরং জামে তিরমিযী, আবু দাউদ, নাসাঈ, মুসনাদে আহমাদ, আব্দুর রযযাক, ইবনে আবী শাইবা, আবু ইয়া’লা এবং ত্বহাবীতে তাকবীরে তাহরীমা ছাড়া আর কোথাও রফউল ইয়াদাঈন না করার হাদীস ইবনে মাসউদ থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত হয়েছে। তাই আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করা পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর রফউল ইয়াদাঈন করার জাল হাদীসকে সহীহ বলে প্রচার করে মুসলিম উম্মাহ ধোঁকা দিয়ে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর নামে চরম মিথ্যাচার করছেন আমাদের আহলে হাদীসের শায়েখগণ। দেখুনঃ 
ﻋَﻦِ ﺍﺑْﻦِ ﻋُﻤَﺮَ ﻛَﺎﻥَ ﺭَﺳُﻮْﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ  ﺇِﺫﺍ ﺍﻓْﺘَﺘَﺢَ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓَ ﺭَﻓَﻊَ ﻳَﺪَﻳْﻪِ ﻭَﺇِﺫَﺍ ﺭَﻛَﻊَ ﻭَﺇِﺫَﺍ ﺭَﻓَﻊَ ﺭَﺃْﺳَﻪُ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺮُّﻛُﻮْﻉِ ﻭَﻛَﺎﻥَ ﻟَﺎ ﻳَﻔْﻌَﻞُ ﺫَﻟِﻚَ ﻓِﻰ ﺍﻟﺴُّﺠُﻮْﺩِ ﻓَﻤَﺎ ﺯَﺍﻟَﺖْ ﺗِﻠْﻚَ ﺻﻠَﺎﺗُﻪُ ﺣَﺘَّﻰ ﻟَﻘِﻰَ ﺍﻟﻠﻪَ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ . 
ইবনু ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, "রাসূল (ছাঃ) যখন ছালাত শুরু করতেন, যখন রুকূতে যেতেন এবং যখন রুকূ হতে মাথা উত্তোলন করতেন, তখন রাফ‘উল ইয়াদায়েন করতেন। সিজদার সময় তিনি এমনটি করতেন না। আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করা পর্যন্ত তাঁর ছালাত সর্বদা এরূপই ছিল।"
(মুজাফফর বিন মুহসিন, জাল হাদীসের কবলে রাসূল (সা) এর সালাত, পৃঃ ২০৩; ড. গালিব, ছালাতুর রাসূল ছাঃ পৃঃ ১০৯; তাওহীদ পাবলিকেশন্স কর্তৃক প্রকাশিত, সহীহ বুখারীর টীকা, পৃঃ ১/৩৫৫; আহসানুল্লাহ বিন সানাউল্লাহ, আলবানী একাডেমী কর্তৃক প্রকাশিত বুখারীর টীকা, পৃঃ ১/৫১৬)  
.
ইবনে উমর (রা.) এর হাদীসটি বুখারী-মুসলিম সহ প্রায় সকল হাদীস গ্রন্থেই উদ্ধৃত হয়েছে। কিন্তু "আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করা পর্যন্ত তাঁর ছালাত সর্বদা এরূপই ছিল"- অংশটির অস্তিত্ব নেই। 
শুধু বায়হাকীতে এ বর্ধিত অংশটুকু বর্ণিত হয়েছে। তবে ইমাম বায়হাকীর সনদে দু’জন রাবী আছেন, যাদের ব্যাপারে প্রচণ্ড আপত্তি রয়েছে। 
একজন হলেন আব্দুর রহমান ইবনে কুরাইশ। ইমাম দারাকুতনী আল মু’তালিফ গ্রন্থে (৪/১৮৭৯) বলেছেন, ﻟﻪ ﺃﺣﺎﺩﻳﺚ ﻏﺮﺍﺋﺐ তার অজানা অচেনা কিছু হাদীস রয়েছে। 
মীযানুল ইতিদাল গ্রন্থে যাহাবী ও লিসানুল মীযান গ্রন্থে ইবনে হাজার উল্লেখ করেছেন, ﺍﺗﻬﻤﻪ ﺍﻟﺴﻠﻴﻤﺎﻧﻲ ﺑﻮﺿﻊ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ অর্থাৎ (মুহাদ্দিস) সুলায়মানী তাকে হাদীস জাল করার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন।
অপর রাবী হলেন ‘ঈসমা ইবনে মুহাম্মদ আল আনসারী’। তার সম্পর্কে ইবনে আদী বলেছেন, ﻭﻛﻞ ﺣﺪﻳﺜﻪ ﻏﻴﺮ ﻣﺤﻔﻮﻅ ﻭﻫﻮ ﻣﻨﻜﺮ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ তার সব হাদীসই বেঠিক, সে আপত্তিকর হাদীস বর্ণনাকারী। মুহাদ্দিস উকায়লী বলেছেন, ﻳﺤﺪﺙ ﺑﺎﻟﺒﻮﺍﻃﻴﻞ বাতিল ও অসত্য হাদীস বর্ণনা করতো। 
আবু হাতেম ও ইয়াহয়া ইবনে মাঈন বলেছেন, ﻛﺬﺍﺏ ﻳﻀﻊ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ বড় মিথ্যুক, হাদীস জাল করতো। (গৃহীত: মাওলানা আব্দুল মতিন, দলিলসহ নামাযের মাসায়েল, পৃঃ ২৫০-২৫১)
.
সুতরাং হাদীসটি জাল। 
কেননা, এ হাদীসের সনদে দু'জন মিথ্যুক রাবী আছেন, যারা হাদীস জাল করতেন। 
এই হাদীসটি আহলে হাদীসের শায়েখরা শুধু নিজেদের রচিত বই পুস্তকেই নয়, সহীহ বুখারীতেও দলিল হিসাবে পেশ করে সহীহ হাদীস বলে চালিয়ে দিয়েছেন। 
বস্তুত: আমাদের দেশের আহলে হাদীস 
শায়েখগণ আওয়ামী লীগের মত- 
এক অবাক করা মেশিন। 😂
যাদের নিকট নিজের পক্ষের লোক হলে রাজাকারও মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যায়, 😂
আর বিপক্ষে গেলে মুক্তিযোদ্ধাও রাজাকার হয়ে যায়। 
একই রকম অবস্থা আহলে হাদীসদেরও। 
নিজের পক্ষে হলে জাল হাদীসও সহীহ হয়ে যায়, আর বিপক্ষে গেলে সহীহ হাদীসও জাল হয়ে যায়। 
এরা আ'লীগেরও এক ধাপ উপরে। 
কেননা, আ'লীগ নিজ স্বার্থে আমাদের মত কোনো সাধারণ বা আলেম লোকের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে। আর আহলে হাদীস নিজের মতবাদ প্রতিষ্ঠায় রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর নামেও সহীহ ভাবে মিথ্যাচার করে।😥😡

জাল ও যঈফ হাদীসের কবলে আহলে হাদীস

জাল ও যঈফ হাদীসের কবলে আহলে হাদীস
আহলে হাদীস আকিদা: নবীদের সংখ্যা ১ লক্ষ ২৪ হাজার।


কুরআনুল কারীম থেকে জানা যায় যে,
মহান আল্লাহ সকল যুগে সকল জাতি ও সমাজেই নবী-রাসূল প্রেরণ করেছেন।
(সূরা ফাতির: ৩৫/২৪; ইউনূস: ১০/৪৭)

এ সকল নবী-রাসূলের মোট সংখ্যা কুরআনে উল্লেখ করা হয় নি। বরং কুরআন কারীমে এরশাদ করা হয়েছে যে, এ সব নবী-রাসূলগণের কারো কথা আল্লাহ তাঁর রাসূল (সাঃ) কে জানিয়েছেন এবং কারো কথা তিনি তাঁকে জানান নি। এরশাদ করা হয়েছে:
وَرُسُلا قَدْ قَصَصْنَاهُمْ عَلَيْكَ مِنْ قَبْلُ وَرُسُلا لَمْ نَقْصُصْهُمْ عَلَيْكَ-
অনেক রাসূল প্রেরণ করেছি যাদের কথা ইতোপূর্বে আপনাকে বলেছি এবং অনেক রাসূল প্রেরণ করেছি যাদের কথা আপনাকে বলি নি।’’ (সূরা নিসা: ৫/১৬৪)
.
এখানে লক্ষণীয় যে,
নবী-রাসূলগণের সংখ্যার বিষয়ে যেমন কোনো একটিও আয়াত নাজিল হয় নি তেমনি কোনো একটিও সহীহ হাদীসও বর্ণিত হয় নি।
একাধিক যঈফ বা জাল হাদীসে এ বিষয়ে কিছু কথা বর্ণিত হয়েছে।
যেহেতু এ বিষয়ক সংখ্যগুলি খাবারু ওয়াহিদ পর্যায়ে হাদীস এবং বিশেষত এগুলির সনদে দূর্বলতা রয়েছে, সেহেতু এ বিষয়ে সুনিশ্চিত কিছু না বলাই উত্তম বলে মত প্রকাশ করেছেন মুহাক্কিক আলিমগণ।
বিখ্যাত মুহাদ্দিস মোল্লা আলী কারী রাহঃ বলেন,
বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা) কে নবীগণের সংখ্যা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়। তিনি বলেন, ১ লাক্ষ ২৪ হাজার। কোন কোন বর্ণনায় ২ লাক্ষ ২৪ হাজার।
তবে তাঁদের বিষয়ে কোন সংখ্যা নির্ধারণ না করাই উত্তম। (শারহুল ফিকহিক আকবার, পৃঃ৯৯-১০০) কারণ তা সহীহ সনদে অকাট্য ভাবে প্রমাণিত নয়।
তিনি আরো বলেন, উচিত হল, নবীগণের সংখ্যা নির্ধারিত সংখ্যার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রাখা; কারণ 'খাবারুল ওয়াহিত' পর্যায়ের হাদীসের উপর আকিদা নির্ভর করা যায় না। বরং জরুরী এই যে, আল্লাহ যে ভাবে বলেছেন সেভাবে নবী-রাসূলগণের উপর ঈমান আনা.... ফিরিশতাদের সংখ্যা, আসমানী কিতাবের সংখ্যা, নবীগণের সংখ্যা, রাসূলগণের সংখ্যা ইত্যাদি বিষয়ে মনোনিবেশ না করা। শারহুল ফিকহিক আকবার, পৃঃ১০১)
.
আমাদের ইমামগণ 'খাবারুল ওয়াহিত' হাদীসের উপর নির্ভর করে আকিদা সাব্যস্ত না করলেও তথাকথিত আহলে হাদীস ভাইগণ তা করেছেন। তাদের আকিদা হল- নবীগণ ১ লক্ষ ২৪ হাজার।
---(দেখুনঃ গালিব, আক্বীদা ইসলামিয়্যাহ, পৃঃ ৮; জাকারিয়া, সূরা নিসাঃ৪/১৬৪ তাফসীর)

🔍দলিল হিসাবে তারা নিম্নে বর্ণিত 'খাবারুল ওয়াহিত' হাদীসটি পেশ করে।

ইবনু হিববান প্রমুখ মুহাদ্দিস তাদের সনদে ইবরাহীম ইবনু হিশাম ইবনু ইয়াহইয়া আল-গাস্সানী (২৩৮ হি) নামক তৃতীয় হিজরী শতকের একজন রাবীর সূত্রে একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন। এ ইবরাহীম বলেন, আমাকে আমার পিতা, আমার দাদা থেকে, তিনি আবূ ইদরীস খাওলানী থেকে, তিনি আবূ যার গিফারী থেকে বলেছেন:
قُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ كَمِ الأَنْبِيَاءُ قَالَ مِائَةُ أَلْفٍ وَأَرْبَعَةٌ وَعِشْرُوْنَ أَلْفاً  قُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ كَمِ الرُّسُلُ مِنْهُمْ قَالَ ثَلاَثُ مِائَةٍ وَثَلاَثَةَ عَشَرَ جَمٌّ غَفِيْرٌ-
‘‘আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল, নবীগণের সংখ্যা কত? তিনি বলেন, এক লক্ষ চবিবশ হাজার। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল, এদের মধ্যে রাসূল কত জন? তিনি বলেন, তিন শত তের জন, অনেক বড় সংখ্যা।’’ (সহীহ ইবনু হিববান ১/৭৬-৭৯, হাঃ ৩৬১)
.
👉হাদীসটির একমাত্র বর্ণনাকারী ইবরাহীম ইবনু হিশামের বিষয়ে ইবনু হিববান মোটামুটি গ্রহণযোগ্য বললেও অন্যান্য মুহাদ্দিস তার কড়া সমালোচনা করেছেন এমনকি তাকে মিথ্যাবাদী রাবী বলেও চিহ্নিত করেছেন।
👉আবূ যুরআ বলেন: লোকটি কায্যাব বা মহা-মিথ্যাবাদী।
👉আবূ হাতিম রাযী তার কাছে হাদীস গ্রহণ করতে গমন করেন। তিনি তার কাছ থেকে তার পান্ডুলিপি নিয়ে তার মৌখিক বর্ণনার সাথে মিলিয়ে অগণিত বৈপরীত্য ও অসামঞ্জস্য দেখতে পান। ফলে তিনি বলেন: বুঝা যাচ্ছে যে, লোকটি কখনো হাদীস শিক্ষার পিছনে সময় ব্যয় করে নি। লোকটি মিথ্যাবাদী বলে মনে হয়।
👉যাহাবী তাকে মাতরূক বা পরিত্যক্ত বলে উল্লেখ করেছেন। (ইবনুল জাওযী, আদ-দু‘আফা ওয়াল মাতরূকীন ১/৫৯; যাহাবী, মীযানুল ই’তিদাল ১/২০১; ইবনু হাজার, লিসানুল মীযান ১/১২২)

যেহেতু হাদীসটি ইবরাহীম ইবনু হিশাম ছাড়া আর কেউ বর্ণনা করেন নি,
সেহেতু ইবনুল জাওযী হাদীসটিকে জাল বলে গণ্য করেছেন। (ইবনু কাসীর, আত-তাফসীর ১/৫৮৬-৫৮৭)

এই জাল হাদীসের উপর নির্ভর করেই আমাদের আহলে হাদীস ভাইয়েরা তাদের আকিদা বানিয়েছেন: নবীদের সংখ্যা ১ লক্ষ ২৪ হাজার।
👉(গালিব, আক্বীদা ইসলামিয়্যাহ, পৃঃ ৮; জাকারিয়া, সূরা নিসাঃ ৪/১৬৪ তাফসীর)

ইমাম ও মুহাদ্দিসগণ বলেছেন,
কিছু শর্তসাপেক্ষে ফাযায়েলের ক্ষেত্রে যঈফ হাদীসের উপর আমল করা যেতে পারে।
কিন্তু আমাদের আহলে হাদীসের ভাইয়েরা ইমামদের সমালোচনা করে বলেন,
কোন অবস্থাতেই যঈফ হাদীস আমল যোগ্য নয়। আমাদের বুঝে আসে না,
যাদের নিকট যঈফ হাদীস আমলযোগ্য নয়,
সেখানে জাল হাদীস তাদের কি করে আকিদার মানদণ্ড হয়?😂😂

©Facebook-Tanzil islam

ওসিলা প্রথম পর্ব

ওসিলা :প্রথম পর্ব
ওসিলা ব্যাধি,
ওসিলার প্রয়োজনীয়তা,
ওসিলার নামে ভন্ডামী
ওসিলার অর্থ,
ব্যাখ্যা ও অসার ওসিলা
ওসিলা একটি ব্যাধি:
     ওসিলা একটি ধর্মীয় ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। অন্যান্য ধর্মের মত আমাদের পবিত্র ধর্ম ইসলাম এবং মুসলীম সমাজও আজ নিদারুনভাবে আক্রান্ত এ ওসিলা ব্যাধিতে, যা করোনা মহামারীর চেয়েও ভয়ংকরভাবে গ্রাস করেছে আমাদেরকে। 

ওসিলা ব্যাধির কারণে আলেম, জালেম, পীর-গুরু, শিক্ষিত-অশিক্ষিত প্রায় সবার মন-মগজে পঁচন ধরেছে।

ওসিলা ব্যাধির প্রভাবে শিরকের মত জঘন্য পাপে ডুবে আছে অধিকাংশ মানুষ। 
কি মুনাজাতে, কি ফসল উৎপাদনে, ব্যবসায়ে, পড়াশোনায়, জ্ঞানার্জনে, পেশাগত জীবনে, সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনে-- প্রায় সব ক্ষেত্রে ওসিলা ব্যাধির সম্মোহনে মানুষ শিরক চর্চা করছে  নিজেদের অজ্ঞাতে। 

এ ভয়ংকর ওসিলা ব্যাধি দ্বারা মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয়েছিল তৎকালীন মক্কার কুরাইশ গোত্র তথা গোটা আরবভূমি। 
কাল্পনিক দেব-দেবীর মূর্তি বানিয়ে কাবাঘর পূর্ণ করে তারা দেব-দেবীদের ওসিলা পূঁজায় লিপ্ত হয়েছিল আল্লাহর রহমত পাওয়ার উদ্দেশ্যে। 
তারা লিপ্ত হয়েছিল বিভিন্ন গোত্র পতিদের নামে ব্যক্তি পূঁজায়। 

কিন্তু আল্লাহর রহমত পাওয়া ছিল তাদের বাহানা। আসলে, তাদের ওসিলা পূঁজার পেছনের উদ্দেশ্য ছিল মানুষের অজ্ঞতাকে ব্যবহার করে নারী সম্ভোগ করা, আর্থিক ফায়দা লুটে নেয়া, আর প্রতিপত্তি বিস্তার করা। 

এরফলে,  কুরাইশরা  আল্লাহর গজবে পতিত হয়েছিল, ধ্বংস হয়েছিল দুনিয়ার বুকে শক্তিশালী ও প্রতিপত্তিশীল ঐ ওসিলা পুঁজারীরা। 

 আর এখন আমাদের দেশে তথা গোটা উপমহাদেশে কায়েম হয়েছে জমজমাট ওসিলা ব্যবসা, যা ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। 
আজকের পোষ্ট এ ওসিলা ব্যাধি থেকে পরিত্রাণের একটি ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা মাত্র। 
আসুন, তা'হলে মূল আলোচনায় প্রবেশ করি। 

♦ওসিলার প্রয়োজনীয়তাঃ
কোন সাফল্যে পৌঁছতে হলে অবশ্যই ওসিলা প্রয়োজন। 
👉পবিত্র কুরআনে সাফল্য অর্জন ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য ওসিলা তালাশ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যেমন ৫:৩৫ আয়াতে আল্লাহ বলেছেন--
          "হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর, তাঁর ওসিলা তালাশ (নৈকট্য অন্বেষন) কর এবং তাঁর পথে জেহাদ কর যাতে তোমরা সফলকাম হও।"

ওসিলার  প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তেমন বিতর্ক আছে বলে আমার মনে হয় না। 
পীর, গুরু, সুফী, ইমাম, আলেম, মুফতি, শায়খ, মুহাদ্দেস--  সবাই ওসিলাকে প্রাধান্য দিয়েই আধ্যাত্মিক পথে দীক্ষা দিয়ে থাকেন। 

তবে, ওসিলাকে ঘিরে বিতর্ক ও অনাচার সৃষ্টি হয়েছে তৎকালীন মক্কার কুরাইশদের আদলে ভন্ডামীর কারণে। 
ওসিলাকে ঘিরে কি ধরণের ভন্ডামী প্রবেশ করেছে আমাদের মন মগজে তাই আজকের আলোচ্য বিষয়। 

♦ওসিলার নামে ভন্ডামিঃ
ওসিলার নাম করে মানুষের অর্থ-সম্পদ হাতিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে আমাদের সমাজে রয়েছে কিছু চাতুর্যময় ভন্ডামী ব্যবসা। 
দুর্বলচিত্ত অজ্ঞ ও আর অর্থলোভী বক ধার্মিক মানুষগুলোই এ ভন্ডদের ওসিলা ব্যবসার ফাঁদে পা রাখছে। 

কারা ভন্ডামি করে : 
সাধারণত: আমাদের দেশে বিভিন্ন তরিকার জিন্দা পীরদের খানকা ও নিরেট কবর বা মাজার, আউল-বাউলদের আখরা, মেডিটেশন ও মেথড গুরুদের কুসংস্কারপূর্ণ কোর্সস্কুল, 
সাধু-সন্যাসীদের গাঞ্জুটি আশ্রম -- এসব প্রত্যেকটি কেন্দ্রে অতি সুক্ষ্মভাবে ওসিলাকে কাল্পনিক মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করে মধ্য স্বত্ত্বভোগীদের শিরকী ব্যবসার আরতদারী  করা হচ্ছে। 
কুরআনে অজ্ঞ লক্ষ লক্ষ মানুষের দুর্বলতাকে ব্যবহার করে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে তাদের অর্থ সম্পদ।

 ভন্ডামির ধরণগুলো
মনের কামনা-বাসনা পূরণ করে দেয়া, 
স্বামী-স্ত্রীতে মিল করে দেয়া, 
সুন্দরী স্ত্রী পাইয়ে দেয়া, 
মনের মানুষকে বশে রাখা, 
নি:সন্তানকে সন্তান দেয়া, 
চাকুরী পাইয়ে দেয়া, 
বিদেশ গমন সফল করে দেয়া, 
শত্রুকে মিত্র বানিয়ে দেয়া, 
রোগমুক্ত করে দেয়া, 
পরীক্ষার ভাল ফলাফল করে দেয়া, 
ব্যবসায়ে উন্নতি করে দেয়া, 
গরীবকে ধনী বানিয়ে দেয়া, 
--- এরূপ হাজারো ভয়াবহ শিরককর্মের আরতধারী করার অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী বলে তারা নিজেদের প্রচার করে, 
আর বিভিন্ন ভেলকিবাজি ও ভন্ডামী কৌশল দ্বারা অজ্ঞ মানুষদের তারা সম্মোহীত করে রাখে। 

ভন্ডামির আরো কিছু নমুনা: 

 *হুজুর, আমার ছেলেটা কথা শুনে না।
একটু তাবিজ দেন। 
*বাচ্চা বিছানা ভিজিয়ে ফেলে, তাবিজ দেন। 
*বাচ্চা রাতে ভয় পায়, তার জন্যও লাগবে একটা। 
*আমার ছেলের বউ এর মাথার চুল,
যেমনে পারেন, ব্যবস্থা করেন, এই বউ যেন আমার বশিভূত হয়। 
*খালাম্মা কয়েকদিন ছুটি দেন,
দেশে যামু ঝাড়ানোর লাইগ্যা, জন্ডিস হইসে!
*বাচ্চা হয় না ?
অমুক বাবার কাছে যাও,
সাথে নিবা একটা কালা মুরগী, একটা লুংগী, কয়েকটা লং, ইত্যাদি ইত্যাদি।
*জমি জমা নিয়ে সমস্যা ?  ব্যবসায় মন্দা ? পড়াশোনায় মন নেই ? 
স্বামী ভালোবাসে না ? 
ইলেকশনে পাশ করতে হবে-- কোন চিন্তা নেই, ওসিলা বাবারা আছে।

**অমুক তমুক আমল এতো বার করে পড়ো, 
এই তাবিয নাও, তার খাবারে এই তেল-পানি মিশায় দাও। 
***উপরিউক্ত ওসিলার বিষয়গুলো অশিক্ষিত মানুষের প্রলাপ মনে হলেও, সমাজের অতি উচ্চ বিত্ত ও নিম্ন বিত্ত, শিক্ষিত- অশিক্ষিত, 
এক কথায় সমাজের অসংখ্য মানুষই এসব বিশ্বাস করে এবং মানে। 

এরা জেনে না জেনে আসলে কালো জাদুর ওপরই ভরসা করে, কখনো শিরক করে আবার কখনো কুফর করে!! 

ঠিক এইখানে এ দেশের মানুষের মূল সমস্যা, শুধু মাত্র আল্লাহ্‌ এর পরিচয় নিয়ে, 
সহীহ আকিদা নিয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকার কারনে, সালাত, তাহাজ্জুদ পড়ে, হজ্জ করেও শিরকের মতো ভয়াবহ পাপে তারা লিপ্ত হয়ে যায়।

♦ওসিলার নামে এ সবকিছুই অর্থ উপার্জনের ধান্ধা ও নিজেদের কাল্পনিক ওলী বলে প্রতীয়মান করার ভন্ডামী ছাড়া আর কিছু নয়। 
মূলত: এসব ওসিলা ব্যবসায়ী ভন্ডরাই হল আসল খন্যাস-- মানুষ শয়তান।
ওরাই ওসিলা পূঁজার ব্যাধি ছড়াচ্ছে অজ্ঞ মানুষদের মধ্যে। 

♦ প্রিয় মুসলীম ভাই ও বোনেরা, আল্লাহ্‌ কিন্তু শিরকের গুনাহ মাফ করেন না। তাই আসুন, নিজেকে এবং পরিবারের মানুষকে অগ্নি থেকে বাঁচাতে ওসীলা পূঁজা নামক শিরক ও কুফর থেকে নিজেদের দূরে রাখি। 

আসুন, ঈমানের সাথে সৎকর্ম করি, বেশী করে দান-সাদকা করি, ভরসা রাখি আল্লাহর উপর । আর সালাত, ধৈর্য ও সবরের সাথে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি। 
নিশ্চয় আল্লাহ আছেন আমাদের সাথে। 
তিনিই মুমিনদের বন্ধু।
তাঁকে ডাকলে তিনি আমাদের ডাকে সাড়া দেন, তাঁকে স্মরণ করলে তিনিও আমাদের স্মরণ করেন। সাহায্যকারী হিসাবে তিনিই যথেষ্ট। 
★★★★★★★★★★★★★★
★★★★★★★★★★
★★★★★★★
★★★★
♦ ওসিলা শব্দের অর্থ: 
ওসিলা শব্দের অর্থ হচ্ছে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের উপায় । যেসব আমল তথা কর্ম দিয়ে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যায়, তাই হল ওসিলা বা উপায় ।
ওসিলা অর্থ কোন বুজুর্গ ব্যক্তি বা কোন পীর-গুরু ধরা নয়। 
তবে, অজ্ঞদের জন্য ওসিলা অনুসন্ধানে হক্কানী পীর-গুরুরা শিক্ষক হিসাবে ভূমিকা রাখতে পারেন, এটা তাদের দায়িত্ব কিন্তু পীর-গুরুরা নিজেদেরকে ওসিলা হিসাবে উপস্থাপন করলে তা হবে শিরক এবং সেক্ষেত্রে তাদের সংসর্গ পরিত্যাজ্য বটে। 

যারা ওসিলার মানে বলছেন কোনো ব্যক্তিকে ধরা বা পীর ধরা, তাঁরা ওসিলার একটি ভুল অর্থ করছেন, যেটি কোনো বিশুদ্ধ তাফসিরে আসেনি। ইবনে কাসিরে আসেনি, ফতহুল কাদিরে আসেনি, তাবারিতে আসেনি, এ রকম নির্ভরযোগ্য যে বড় তফসিরগুলো আছে, সেগুলোর কোনোটিতেই আসেনি। 

ওসিলার ব্যাখ্যা: 
যেসব ব্যক্তি ওসিলার অর্থ করেছেন মাধ্যম, আল্লাহর কাছে মাধ্যম তালাশ করো অর্থাৎ লবিং, তাঁদের মতে এই লবিং বা মাধ্যম হচ্ছেন ওলি, পীর, বুজুর্গ ইত্যাদি বিশেষ ব্যক্তি। কিন্তু এই ধারণাটি পুরোটাই ভুল। আল্লাহর সাহায্য এবং নৈকট্য পাওয়ার জন্য এবং পরকালীন মুক্তির জন্য কোন লবিং এর প্রয়োজন নেই। কেননা, আমাদের প্রার্থনা কবুল করার জন্য সর্বদা তিনি আমাদের সাথেই আছেন।
যেমন - আল্লাহ বলেন, 
সূরা আল বাকারা, আয়াত ১৮৬:
"আর আমার বান্দারা যখন তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে আমার ব্যাপারে বস্তুতঃ আমি রয়েছি সন্নিকটে। যারা প্রার্থনা করে, তাদের প্রার্থনা কবুল করে নিই, যখন আমার কাছে প্রার্থনা করে। কাজেই আমার হুকুম মান্য করা এবং আমার প্রতি নিঃসংশয়ে বিশ্বাস করা তাদের একান্ত কর্তব্য। যাতে তারা সৎপথে আসতে পারে।"

উপরিউক্ত আয়াতে আল্লাহ বলেছেন যে, 
তিনি আমাদের সাথেই আছেন, তিনি আমাদের প্রার্থনা কবুল করেন -- আর একথা নিঃসংশয়ে বিশ্বাস করা আমাদের একান্ত কর্তব্য বলেছেন। 

বিপদে আপদে কোন পীর বা ফকিরকে মাধ্যম হিসাবে না ধরে বা হুজুরের কাছ থেকে তাবিজ কবজ না নিয়ে বরং একমাত্র আল্লাহকে ডাকতে পবিত্র কোরআনে বার বার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। যেমন-- আল্লাহ বলেন, সূরা আল মু'মিন, আয়াত ৬০:
‘‘তোমাদের প্রতিপালক বলেছেন, আমাকে ডাক, আমি তোমাদের দোয়া কবুল করব।’’

এভাবে সরাসরি বলার পরেও আল্লাহর নৈকট্য প্রাপ্তি তথা দুনিয়া ও আখেরাতের চাওয়া-পাওয়ার জন্য ওসিলার অপব্যাখ্যা করে মধ্যস্বত্ত্বভোগী পীর-গুরু নামক লবিষ্ট ধরা, আর না ধরলে আল্লাহ আমাদের দোয়া কবুল করবেন না, তিনি আমাদের ডাক শুনবেন না -- এ ধরনের বিশ্বাস হল মুশরিকি চিন্তাপ্রসূত এবং শিরকী গুনাহ। 

অনেকে বলেন, উসিলা বা মাধ্যম হিসাবে ‘পীর’ না ধরলে শেষ বিচারের দিন জান্নাত পাওয়া যাবে না। আর উসিলা বা মাধ্যম ধরলে পীর ফকিরগণ তাদের মুরিদদেরকে হাশরের দিনে উদ্ধার করে বেহেশতে নিয়ে যেতে পারবেন। অথচ কুরআন বা হাদিসে ‘পীর’ বলে কোন শব্দ নেই। এমন কি, পীরের কোন পরিভাষাও কুরআনে নেই। 

 যারা মনে করছেন, পীরের মুরিদ হয়ে তার সেবা করলে সে পীরই কেয়ামতে তার ভক্তদেরকে সুপারিশ করে মুক্ত করে নেবেন, তার গ্যারান্টি কি ? আর ঐ পীর বা বুজুর্গ যে সত্যিই বেহেশতে যাবেন এবং তাকে আল্লাহ সুপারিশ করার অনুমতি দেবেন তার গ্যারান্টি কি ? না, এর কোন গ্যারান্টি নেই। 

কারণ, একমাত্র রাসুল সা: ছাড়া দুনিয়ার আর কোন ওলি-দরবেশ যে সুপারিশ করার অনুমতি পাবেন, তা কেউ জানে না। আর কে যে প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দৃষ্টিতে ‘ওলি' , সেটা আল্লাহ ছাড়া কোন মানুষের পক্ষে জানাও সম্ভব নয়। 

সুতরাং অনিশ্চিত ওলি, দরবেশের ওসিলার পেছনে না দৌড়ে, বরং তাদের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে কুরআন ও হাদিসের আলোকে পথচলা অধিকতর নিরাপদ।

অন্যত্র আল্লাহ বলেন, -- সূরা আল জ্বিন, আয়াত ২১:
"বলুনঃ আমি তোমাদের ক্ষতি সাধন করার ও সুপথে আনয়ন করার মালিক নই।"

কুরআন অনুসারে যেখানে স্বয়ং রাসুলই কাউকে সুপথে নিয়ে আসার এখতিয়ার রাখেন না, সেখানে অন্যদের ওসিলার এখতিয়ারে বিশ্বাস করা মারাত্মক গোমরাহী। 

কুরআনের অপর এক আয়াতে আল্লাহ বলেন, - সূরা ইউনুস : আয়াত ১০৭: 

 ‘‘আল্লাহ যদি তোমাকে কোনো কষ্ট দেন তবে এমন কেউ নেই তিনি ছাড়া যে তা দূর করবে। আর তিনি যদি তোমার কোনো মঙ্গলের ইচ্ছা করেন তবে এমন কেউ নেই যে তার অনুগ্রহ রদ করবে। তিনি নিজ বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা অনুগ্রহ করেন। তিনি অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’’। 

এর মানে হল-- সাহায্যকারী হিসাবে আল্লাহই যথেষ্ট এবং শুধুমাত্র তাঁর ওসিলা তালাশ করাই ঈমানদারের পরিচয়। 

আমরা যখন নামাজ পড়ি, রোজা রাখি, ওমরা করি, হজ্জ করি, কুরবানি করি, সাদকা বা দান করি, আমাদের কি কোনো মাধ্যম লাগে ? অথচ, এগুলো সবই তো আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই করি। 

কোন নেক কর্মের জন্য কোনো ব্যক্তিজনিত মাধ্যমকে ইসলাম সমর্থন করে না। 
আর যে বিষয়টি নিয়ে ওসিলার ধারণাটি ভুল হয়েছে, সেটি হলো-- আল্লাহর কাছে শাফায়াত করা। মানুষ মনে করে এই বুজুর্গ ব্যক্তি, আল্লাহর ওলি, আল্লাহর কাছে আমার জন্য শাফায়াত করবেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আল্লাহর কাছে তিনি যে শাফায়াত করবেন, সেটি আমরা কীভাবে বুঝবো ? এ বিষয়ে আল্লাহ বলেন-- 
সূরা আল বাকারা, আয়াত ২৫৫:
"কে আছ এমন, যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া?"

তার মানে শাফায়াত আমরা নির্ধারণ করতে পারব না, আমি কাউকে বলতে পারব না যে, কেয়ামতের দিন আপনি আমার জন্য শাফায়াত করুন।

সুতরাং কেউ ওসিলার আরতদার নয়, মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের কাছে ওসিলা ধরে চাওয়া সুযোগ নেই। যদি কোনো বুজুর্গের কাছে আমাদের কিছু চাইতেই হয় তা'হলে একটি জিনিসই চাইতে পারি, সেটি হলো দোয়া। যদি তিনি জীবিত থাকেন তা'হলে তার কাছে দোয়া চাইতে পারি। 
কিন্তু সেই বুজুর্গ মৃত হলে আর তাঁর কাছে এটি চাওয়া যাবে না। দোয়া করা বা দোয়া চাওয়ার বিষয়ে কুরআনের নির্দেশ হল-- 

সূরা আন নিসা, আয়াত: ৮৬
"তোমাদেরকে যদি কেউ দোয়া করে, তাহলে তোমরাও তার জন্য দোয়া কর; তারচেয়ে উত্তম দোয়া অথবা তারই মত ফিরিয়ে বল।"

হ্যাঁ, আমরা আল্লাহর নির্দেশমতে পরস্পরের জন্য দোয়া করতে পারি। সুখী হওয়ার দোয়া, বিপদ মুক্তির দোয়া, ইহকাল ও পরকালীন শান্তির জন্য দোয়া ইত্যাদি। পীর-গুরুর কাছে দোয়া চাইলে তাতেও কোন দোষ নেই। 

 যারা বুজুর্গ আছেন, জ্ঞানী আছেন, আলেম আছেন, তাঁদের কাছে আমরা দ্বীন শিখব এবং দোয়া চাইব, এর বেশি কিছু নয়, এক্ষেত্রে কোনো মধ্যস্বত্বভোগীর চিন্তা থাকতে পারবে না। 

আল্লাহ তার ক্ষমতার কোন মধ্যস্বত্বভোগী তৈরী করেননি, তিনি তাঁর কর্তৃত্বের কোন শরীকদার তৈরী করেননি। এ বিষয়ে আল্লাহ বলেন-- 

সূরা আল কাহফ, আয়াত: ২৬
"বল, তিনি কাউকে নিজ কর্তৃত্বে শরীক করেন না।"

আল্লাহ অমুখাপেক্ষী, কারো উপরই নির্ভরশীল নন। তাই ওসিলা তথা উপায় বলতে কোন ব্যক্তি নয়, বরং ব্যক্তির আমল, তার কর্মকে বুঝতে হবে। কর্ম অনুযায়ী প্রত্যেকে তার ফল ভোগ করে। 

♦মুশরিকদের অসার ওসিলা: 
      বিশ্বের অন্যান্য মুশরিকদের মত আরবের মুশরিকগণেরও মূল শিরক ছিল অলৌকিক বা গায়েবী সাহায্যের জন্য গাইরুল্লাহকে ডাকা। 
তারা বিপদে আপদে ফেরেস্তা, জিন, সুলায়মান (আ:), ঈসা (আ), উযাইর (আ), ইবরাহীম (আ) ইয়াগূস, ওয়াদ্দ প্রমুখ নবী, ওলী এবং তাদের কল্পিত উপাস্যদেরকে ডাকত। 
এরূপ প্রার্থনার অসারতা প্রকাশ করে আল্লাহ বলেন, -- 

সূরা বনী-ইসরাঈল আয়াত: ৫৬-৫৭:
‘‘তোমরা আল্লাহ ব্যতীত যাদেরকে ধারণা কর তাদেরকে আহবান কর, তোমাদের দুঃখ-দৈন্য দূর করার অথবা পরিবর্তন করার শক্তি তাদের নেই। 

তারা যাদেরকে আহবান করে তারাই তো তাদের প্রতিপালকের নৈকট্য সন্ধান করে, কে কত বেশি নিকটতর হতে পারে, তারা তাঁর দয়া প্রত্যাশা করে এবং তাঁর শাস্তিকে ভয় করে। তোমার প্রতিপালকের শাস্তি ভয়াবহ।’'

মুশরিকগণ বিশ্বাস করত যে, 
ফেরেস্তাগণ, জিনগণ, ঈসা (আ), উযাইর (আ), ইয়াগূস, ইয়াউক এবং তাদের অন্যান্য জীবিত বা মৃত উপাস্যগণকে দুনিয়ার যেখান থেকেই ডাকা হোক তারা সকল গায়েবী ডাক শুনেন ও সাড়া দেন।

 মহান আল্লাহ তাদের এ বিশ্বাস খন্ডন করে জানান যে, এদের কেউই গায়েবী ডাক বা দূরের ডাক শুনেন না এবং সাড়াও দেন না। 
উপরন্তু কিয়ামতের দিন এরা এ সকল পূজারীর বিরুদ্ধে আল্লাহর দরবারে নালিশ করবেন। 
আল্লাহ বলেন--  

সূরা আল আহ্‌ক্বাফ, আয়াত ৫--৬:
‘‘সে ব্যক্তি অপেক্ষা অধিক বিভ্রান্ত কে যে আল্লাহর পরিবর্তে এমন কাউকে ডাকে যে কিয়ামত পর্যন্তও তার ডাকে সাড়া দিবে না এবং তারা তার প্রার্থনা সম্বন্ধে অবহিতও নয়। 

যখন কিয়ামতের দিন মানুষকে একত্র করা হবে তখন তারা হবে তাদের শত্রু এবং তারা তাদের ইবাদত অস্বীকার করবে।’’

সুতরাং সাবধান, অন্য কোন ব্যক্তির বা বস্তুর ওসিলা তালাশ না করে , বরং আল্লাহর উপর একনিষ্ঠভাবে বিশ্বাস ও ভরসা রেখে দুনিয়া ও আখেরাতের সাফল্যের জন্য তারই ওসিলা তালাশ করা একজন প্রকৃত মুসলীমের বৈশিষ্ট্য ।
------
♦এরপর--
 #পর্ব- ২: ওসিলার প্রকারভেদ ও এতদ বিষয়ে আলোচনা
সাফল্য লাভে সহি ওসিলাসমূহের ব্যবহারিক আলোচনা
ওসিলা ব্যাধির প্রতিকার ও প্রতিষেধক 
+++++++++++++++++ +++
©Facebook- Mosharaf Hossain  Mithu

ফটো এডিট করার সব চেয়ে সহজ উপায় The easiest rule is to remove the background from the photo

From here you can change the background of your photo without any software. This is the most effective website to remove the background. To edit the website, you just need to have an internet / WiFi connection on your mobile computer or laptop. 
🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻

ফটো থেকে ব্যাকগ্রাউন্ড মুছে ফেলার জন্য নিচে "Edit My photo " তে ক্লিক করুন। 
🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀
Click on "edit my photo" below to remove the background from the photo  
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
Upload the photo for which you want to change the background 
Once uploaded, it will look like below
Now click on " Edit "
Then yours 
As desired 
Arrange   
When sorted 
Save
.
.
.
.
.


.
.
 🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻
Removebg, Remove background,    

Play store থেকে বাছাই করা প্রয়োজনীয় Software and Game

প্রয়োজনীয় যত অ্যাপস রয়েছে তার একটা লিস্ট তৈরি করলাম যাতে যখন যেটা প্রয়োজন হবে খুব সহজে সেটা বের করতে পারি
ভিডিও এডিটিং  এর জন্য এই apps গুলো ব্যবহার করতে পারেন
.
➡➡➡app name : inshot
app link : inshot

➡➡➡app name : power director
app link: power directore
.
Video merge, Cut, Trim, Split. 
Without losing video quality!
FREE & No Watermark!
➡➡➡app name : video maker 
app link: video maker
বিভিন্ন রকম ডিজাইন এর জন্য আমার কাছে এইটা অনেক ভালো আমি এটাই বেশি ব্যবহারকরি 
app Name : Filmigo
App link : Filmigo   
====★===Photo Editor =★======★==
ফটো এডিটের জন্য এই এপসগুলো ব্যবহার করতে পারেন
==============
➡app name: face app
background পরিবর্তন করার জন্য এটা বেষ্ট app
app Link: face app
.
কম খরচে কথা বলার জন্য 
এই অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারেন

App Name : Amber it ip phone 
App link : Amber it ip phone
App name: Brilliant
App link : Brilliant    
 
এই Apps এর মাধ্যমে সহজেই ফ্রীতে  অসংখ্য ইমেল ঠিকানা পাওয়া যায় যা দিয়ে অনলাইন জগতে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা  
App Name: Tempmaile
App Link : Temp Maile
  
অনলাইন এ কাউকে কোন কিছু শিক্ষা দেওয়ার imo massinger WhatsApp call রেকর্ড করার জন্য স্কিন রেকর্ড এর প্রয়োজন হয়।
App Name : AZ Screen Recorder  
App Link  : Az screen recorder
Cc Camera 
Hide গোপনে ভিডিও হবে কেউ বুঝতে পারবে না
Hide CC camera 
এড মুুুুক্ত অসাধারণ একটি লানচার
এটাতে সফটওয়্যার লুকিয়ে রাখা যায়।  
App Name : Eive
App Link: Launcher 

প্রত্যেকটি ফোনে এই app টি অত্যান্ত প্রয়োজন
ফোনের অপ্রয়োজনীয় আবর্জনা ডিলেট করতে সহায়তা করে।
এটাতে apps backup নেয়া যায়।  
app link : file manager 

Audio গানে নিজের ইচ্ছেমত  photo add করার 
জন্য 


এই apps এ
আযান, ইফতারির সময়
বাংলা,ইংরেজি তারিখ রয়েছে 
App Link:--- বাংলা ঘড়ি 

প্রয়োজনীয় কোন কিছু লেখার জন্য  
এই দুইটা ডাইরি অসাধারন।
এটাতে লক নাই
App Link :--- google Note 
এই ডাইরিতে লক সিস্টেম রয়েছে লক করে রাখলে কেউ এটা ডিলেট করতে পারবে  
App Link:---- Note pad

Back baton home baton কাজ না করলে এই সফটওয়্যার টি বেস্ট 
Handy soft key
ব্লগ app play store এ মাঝে মাঝে খুজে পাওয়া যায় না 
-----------------★----Game------★---------------
Race game
এই গেমটি খেললে মনে হবে আপনি সত্যি সত্যি কার চালাচ্ছেন।     
App link : State Racing 3D  
এই গেমটি পুরাই 3D 
এর ডিজাইনগুলো অসাধারন
App link : Power over
অনেক বড় এবং জটিল একটি গেম 




মহা বিশ্বে অভিযান 
App size: 143 MB 

★★★★★★ Islamic app ★★★★★★★
তাফহীমূল কুরআন
কুরআন গবেষণা করার জন্য অতুলনিয় একটা apps   
তাফসিরে ইবনে কাসিরসহ অনেকগুলি তাফসির রয়েছে এটাতে 
হাদিস 
.
Off line এ পড়া যাবে 
.
Banking service 
বিকাশ apps
Bkash : --- Bkash  
রকেট ডাচ্ বাংলা ব্যাংক 
Rocket :--- Rocket DBBL
নগদ apps
Nagod :--- Nagad

কীভাবে NID অনলাইন কপি বের করবেন বিস্তারিত দেখে নিন

যারা ভোটার হওয়ার জন্য ছবি তুলেছেন কিন্তু NID Card পাননি, 
তারা ভোটার নিবন্ধন ফর্ম এর স্লিপ নম্বর 
ব্যবহার করে NID কার্ড সংগ্রহ করতে পারেন। 
যেভাবে nid online copy 
বের করবেন বিস্তারিত দেখে নিন 
.
আপনার ম্যাসেজ অপসানে যান এবং লিখুন " 
NID স্পেস ফর্ম নাম্বার স্পেস  জন্ম তারিখ
লিখে পাঠিয়ে দিন ১০৫ নাম্বারে। 
.
অনলাইন থেকে Nid নাম্বার বের করতে নিচের লিংক এ ক্লিক করুন   তারপর ভোটার নিবন্ধন ফরমের স্লিপ নম্বর, জন্ম তারিখ ও ক্যাপচা সঠিকভাবে পূরণ করে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের nid নাম্বার সংগ্রহ করুন।
ফিরতি sms আপনি আপনার nid no পেয়ে যাবেন 
তারপর 
নিচের এই লিংক এ ক্লিক করে পর্যায়ক্রমে ধাপগুলো অনুসর করুন। 
.
.
.
যদি অনলাইন থেকে nid number বের না হয় তাহলে যার আইডি কার্ড বের করবেন তার ফেসবুক আইডি থেকে তার ফর্ম নাম্বারের একটা ফটো ও জন্ম তারিখ 
নির্বাচন কমিশন এর অফিসিয়াল ফেসবুকপেজ এর ইনবক্সে এ পাঠিয়ে দিয়ে 
তাদেরকে nid number বলতে বলুন।  
          

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এর নিচের এই ভিডিওটি দেখলে খুব ভালোভাবে বুঝতে পারবেন
  


ভূল সংশোধন করতে যেভাবে টাকা পেমেন্ট করতে হবে 
 
Nid ভূল সংশোধন করতে যত টাকা চার্জ কাটবে  Video টি দেখুন 




আপনি যদি NID কার্ড হারিয়ে থাকেন, কিন্তু এনআইডি নম্বরটি যদি কোথাও লেখা থাকে তাহলেও আপনি এই পদ্ধতিতে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।    

🌹

-----------------
---NID সম্পর্কে যে কোন সমস্যা/ প্রয়োজনে    
105 নং এ কল করুন
কোন টাকা কাটবে না 
ফ্রী 
যোগাযোগের সময়ঃ রবি-বৃহস্পতি, 
সকাল ৯:০০টা - বিকাল ৫:০০টা পর্যন্ত।

ভালো লাগলে এটি শেয়ার করে আপনার টাইমলাইন এ সেভ করে রাখুন।